দাম্পত্য কলহের জেরে খুন , ফলতার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ফলতা :: শনিবার ৮,মার্চ :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার বেলসিনহা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীচাদা-বুদা এলাকায় খড়ের গাদা থেকে অগ্নিগ্ধ অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।

এই ঘটনার তদন্ত নেমে ফলতা থানার পুলিশ মৃতের স্বামীকে গ্রেফতার করে। পুড়ে যাওয়া শরীরে গলায় রুপার চেন,পরহিত লাল হলুদ চুড়িদারের না পোড়া অংশ ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া জুতো দেখে দেহ শনাক্ত করে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন।

উদ্ধার হওয়া মহিলার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার বাখরাহাট এলাকায় বাপের বাড়ি । শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে। ঘটনায় গ্রেফতার মৃতের স্বামী গোলাম আলি সেখ । ফলতার বুদা গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন জানায়, ফলতার বুদা গ্রামে প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো তাদের মেয়ের। স্বামীর সাথে অশান্তির জেরে গত দেড় বছর মেয়েকে নিয়ে বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় বাপের বাড়িতে ছিল ওই গৃহবধূ।

অভিযুক্ত স্বামী গোলাম আলি সেখ ফোনে তার স্ত্রীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে । ঈদের কেনাকেটা করে দেওয়ার নাম করে ডাকে। মঙ্গলবার বাখরাহাট এলাকা থেকে স্ত্রীকে বাইকে করে নিয়ে যায় গোলাম ।

অভিযোগ, সেই রাতেই ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীর উপর শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে খুন করে গোলাম । এরপর তথ্য লোপাট করতে গ্রামের নির্জন জায়গায় খড়ের গাদায় দেহ ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কাউকে কিছু বুঝতে না দেওয়ার জন্য রাতেই নিজের কর্মস্থলে ফেরে গোলাম আলি । পেশায় দর্জী গোলাম কাজ করতো শ্বশুর বাড়ি এলাকায়।

মেয়েকে রাত থেকে খুঁজে না পেয়ে মৃতার বাবা বুধবার জামাইয়ের কাছে মেয়ের খোঁজ নিলে প্রত্যুত্তরে গোলাম গালিগালাজ শুরু করে । তখনই ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গোলামকে মারধর করে। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে ।

এরপর মৃতার পরিবারের লোকজন নিজেদের মেয়ের খোঁজে ফলতা থানায় পৌঁছায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীর প্রতি আক্রোশে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে গোলাম । এরপর তাকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 1 =