নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ ::নয়াদিল্লি :: ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী খোয়াইতে শাবল দিয়ে এক পুলিশ অফিসারসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মাঝরাতের এই ঘটনার ঘাতক প্রদীপ দেবরায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রদীপ মানসিক ভারসাম্যহীন এবং গতকাল মদ্য পান করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন প্রদীপ। প্রথমেই শাবল নিয়ে মারতে যান স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়কে। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। বর্তমানে আগরতলার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মীনা প্রাণে বাঁচলেও তাঁর দুই সন্তানকেই খুন করে প্রদীপ। মাঝরাতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশী কৃষ্ণ দাস (৫৪) এগিয়ে এলে তাঁকেও খুন করে প্রদীপ। কৃষ্ণ দাসের ছেলে জানান, অন্যান্য প্রতিবেশীর বাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে সে।
খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিত মল্লিক। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই ঘাতক প্রদীপ তাঁর পেটে শাবল ঢুকিয়ে দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এসে ঘাতককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঁচটি মরদেহই মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গ্রামবাসী জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রদীপ মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে এতটা হিংস্র হয়ে উঠবে, সেটা তাঁরাও ভাবতে পারেননি।