একসঙ্গে ৮ জনকে হারানোয় চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: মঙ্গলবার ৮,এপ্রিল :: পড়ানোর পাশাপাশি অফিস চালাতে হচ্ছে শিক্ষিকাদের। কারণ, নির্ধারিত দু’জন করণিকের কাজ গিয়েছে। একই সঙ্গে ৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং ৩ জন শিক্ষিকাও বাতিলের তালিকায় পড়েছেন।

একসঙ্গে ৮ জনকে হারানোয় চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোমবার, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাই করণিকের কাজ থেকে শুরু করে, মিড-ডে মিলের রান্না দেখাশোনা করলেন।

            ৮ জনকে হারানোয় চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়                    পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ::  নিজস্ব চিত্র 

দারোয়ান শূন্য হয়ে যাওয়ায় কেউ কেউ সকল ছাত্রী স্কুলে ঢুকছে কি না দেখতে গেটে দাঁড়িয়ে রইলেন। অস্থায়ী নাইট গার্ড গেট খোলা, ঘন্টা দেওয়ার পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজে হাত লাগালেন।

১৯২৮ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের শহরে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১১৫০। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রসায়নের এবং নবম ও দশমের অঙ্ক ও ইংরেজির ৩ জনকে হারিয়ে বর্তমান শিক্ষিকার সংখ্যা ৩১। প্রধান শিক্ষিকা মৌমিতা পাল জানান, পঞ্চম থেকে দশম পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে ৩টি করে বিভাগ।

সঙ্গে একাদশ ও দ্বাদশের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ। তিনি বলেন, “এক সঙ্গে সব ক্লাস চালু থাকলে ২২ জন শিক্ষিকাকে লাগবেই। পাশাপাশি অফিসের কাজ তো আছেই।”

একই সঙ্গে মৌমিতা বলেন, “মেয়েদের স্কুল তাই নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েইছে। দারোয়ানরা প্রত্যেকটি মেয়েকে চিনতেন। ভিতরে ঢোকা পর্যন্ত নজর রাখতেন। এখন সেখানেও দিদিমনিদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 4 =