সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: মাতলার বুক খালি করে অবাধে চলছিল বালি মাফিয়াদের দাপট। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে অন্যতম আবেগ সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয় কুলতলিকে। কুলতলির মাতলা নদী বক্ষ থেকে প্রকাশ্যেই দিনরাত চলছে বালি চুরি। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দাবি প্রতিবাদ করলেই বালি মাফিয়াদের হুমকির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এলাকায় চলেছিল বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এলাকায় বালি মাফিয়াদের দাপাদাপি রুখতে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীদের বক্তব্য, কখনও কখনও আশ্বাস মিলেছে দেখে নেওয়ার। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। বালি মাফিয়াদের দাপট রুখতে এবার নড়েচড়ে বসলো বারুইপুর জেলা পুলিশ। আজ কুলতলীর মাতলা নদীতে নদী থেকে বেআইনি বালি তোলার অভিযোগে ১০জনকে আটক করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি গাড়ি ও একটি নৌকো। ধৃতদের কে আগামীকাল বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন মাতলা নদী বক্ষ থেকে যে বালি চুরি হচ্ছে, তা কেল্লার অম্বিকানগর কাঠখালি, রাস্তার ধারে বড় বড় বালির স্তুপ করে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি এই বালি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও কাজে লাগানো হয় বলে অভিযোগ । এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কুলতলি থেকে সেই বালি ট্রাক-লরিতে করে সরবরাহ হয়।নদী থেকে বালি তোলার কোনও অনুমতি নেই। নিয়ম সেখানে দিনের পর দিন নদী বক্ষ থেকেই বালি তুলছে একটা চক্র।
কুলতলি এলাকার প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন মজুর প্রতিদিন কাজ করেন। তাঁদের কাজ এই বালি তোলা। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি নৌকো নদী বক্ষ থেকে তুলে আনে। বারাইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান বেআইনিভাবে নদী পক্ষ থেকে বালি তোলার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছিল । তাই এই অভিযান চালানো হয় । আগামী দিনেও এইরকম অভিযান চালনো হবে।