নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::আসানসোল :: সোমবার ২৮,এপ্রিল ::আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক সিপিএম নেত্রী। গত কয়েকদিন ধরে গোটা বিষয়টি একটা নতুন মাত্রা পাচ্ছিল।
এই অভিযোগেই শেষ পর্যন্ত সিপিএম জমানার মন্ত্রী তথা আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।মুর্শিদাবাদের এক মহিলা নেত্রীকে সমাজমাধ্যমে নানা কুরুচিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগ ছিল বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
যা কার্যত ‘ভার্চুয়াল যৌন হেনস্থা’ হিসাবে অভিযোগ এসেছিল সিপিএমের কাছে। তার ভিত্তিতেই দলীয় স্তরে তদন্ত করে বংশগোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কারের পথে হাঁটল সিপিএম।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলির ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের সময়েই এই নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। তার পর দু’মাস যেতে না যেতেই তা সমাজমাধ্যমে দাবানলের আকার নিয়েছে। আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক সিপিএম নেত্রী।
তারপর থেকেই বংশগোপাল চৌধুরীর ঘটনাটি নতুন মাত্রা পাচ্ছিল। রবিবার ছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। তা শেষ হওয়ার পর থেকেই নানাবিধ স্ক্রিনশট, অডিয়ো ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে।
অভিযোগকারিণী ঐ সিপিএম নেত্রী জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘‘একটি সংগঠনের বিষয়ে আমাকে তথ্য দেবেন বলে বংশগোপাল চৌধুরী জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য না পেয়ে আমি তার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম।
পরবর্তী কালে উনি আমাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন। সেখানেই শেষ নয়। মুর্শিদাবাদের ঐ মহিলা নেত্রীর আরো অভিযোগ, “জেলায় দলের যে মুখপত্র রয়েছে, আমি তার সঙ্গে যুক্ত।
সাংবাদিকতা বিষয়টি আমার মধ্যে রয়েছে। তাই আমি বংশগোপাল চৌধুরীকে আমার হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বর দিয়েছিলাম। বুঝতে চেয়েছিলাম, উনি কি করতে পারেন। তার পরেই সেখানে তিনি আমাকে মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন।’’
অভিযোগকারিণীর আরো দাবি যে, গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি জেলা সিপিএমকে অভিযোগ আকারে সমগ্র বিষয়টি জানিয়েছিলেন। দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে বিষয়টি পৌঁছেছিল। তার পর সব খতিয়ে দেখে বংশগোপাল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।