বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের (দয়িতাপতি) মধ্যে কারা উপস্থিত ছিলেন ? এবং কোন কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে ? দিঘার মন্দিরকে ‘ধাম’ বলা যায় কী ? এইসব নিয়ে এবার তদন্ত করছে ওড়িশার সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দিঘা :: রবিবার ৪,এপ্রিল :: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। ওইদিন বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের (দয়িতাপতি) মধ্যে কারা উপস্থিত ছিলেন ? এবং কোন কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে ? দিঘার মন্দিরকে ‘ধাম’ বলা যায় কী ? এইসব নিয়ে এবার তদন্ত করছে ওড়িশার বিজেপি সরকার।

সূত্রের খবর, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন চিঠিতে লিখেছেন, “গত কয়েকদিন ধরে, সমস্ত সংবাদমাধ্যমে ভগবান জগন্নাথের মন্দির এবং জগন্নাথের সংস্কৃতি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রচারিত হচ্ছে।

দিঘায় ভগবান জগন্নাথের মন্দির থাকা, মন্দিরের নাম পরিবর্তন করে জগন্নাথ ধাম রাখা, এখানকার সেবকদের মন্দির নির্মাণে যোগদান এবং কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এই বিষয় জগন্নাথপ্রেমী ভক্ত সম্প্রদায় এবং ওড়িশার সাড়ে চার কোটি মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।

তাই মন্দির প্রশাসন পুরো ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত করবে। তদন্তের পর এর সত্যতা প্রকাশেরও ব্যবস্থা করবে। রাজ্যের আইনমন্ত্রীর কথায়, “যদি কেউ এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় বা জেনেশুনে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে মন্দিরের প্রধান প্রশাসককে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + thirteen =