সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে এম.পি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন সোনু নিগম । আর তাই এখন বলিউডের গায়ক সোনু নিগমের গলায় “খেলা হবে” স্লোগান । আগামী ৫ ডিসেম্বর ডায়মন্ডহারবার মহাকুমা ময়দানে এই লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ১২৮টি দল অংশ নিচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়।
২০১৭-য় এম.পি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখতে হয়। এবার সুরক্ষাবিধি মেনেই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। টানা এক মাস ধরে চলবে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ফুটবল প্রতিযোগিতার এই আসর আর ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন অভিষেক। সেখানেই সংগীত পরিবেশন করবেন সোনু নিগম।
সেকথা জানিয়েই গায়ক বলেন, “নমস্কার, হ্যালো ডায়মন্ড হারবার। আমি আপনাদের কাছে ৫ ডিসেম্বর আসছি আমার প্রিয় বন্ধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। খুব শিগগিরিই দেখা হবে। খেলা হবে।” এক সময় বলিউডে চুটিয়ে গান করেছেন সোনু। এখন রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক হওয়ার সুবাদে বাংলাতেই রয়েছেন।
সোনুর মুখেই শোনা গেল ঘাসফুল শিবিরের ‘খেলা হবে’ স্লোগান। ৩০ ডিসেম্বর মহেশতলার বাটা স্টেডিয়াম মাঠে প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচেও হবে নক্ষত্র সমাবেশ। এখন চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। টুর্নামেন্টের সংগঠক জাহাঙ্গীর খান জানান, তরুণ ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন উদ্যোগ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ১২৮টি দল অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে দলগুলির হয়ে খেলায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট ফুটবলাররাও।
সম্পূর্ণ কোভিডবিধি মেনেই চলবে এই আকর্ষণীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা।করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেক ফুটবলারের ক্ষেত্রে যেমন থাকছে কঠোর বিধিনিষেধ তেমনই মাঠে প্রবেশের জন্য দর্শকদের জন্যও থাকবে বেশ কিছু নিয়মকানুন। প্রত্যেক দলের খেলোয়াড়দের বয়স আঠেরোর বেশি হতে হবে। নাম নথিভুক্ত করার সময় ও খেলতে নামার আগে দিতে হবে করোনা টিকার দু’টি ডোজের শংসাপত্র।
১৮ বছরের কমবয়সী ফুটবলারদের দেখাতে হবে আরটি পিসিআর রিপোর্ট। মাস্ক ছাড়া কোনও দর্শককেই মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। টুর্নামেন্ট কমিটিও মাঠে প্রবেশের আগে বিলি করবে মাস্ক। প্রবেশপথে থাকছে স্যানিটাইজার টানেল। আর নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শককেই দেওয়া হবে মাঠে প্রবেশের অনুমতি।