নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: রবিবার ১১,মে :: প্রতিবন্ধী স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে নারাজ নববধূ। বিয়ের দশ দিনের মাথায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী নাবালিকা বধূ। জানা যায় মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অন্য তরুনের সঙ্গে। তাও মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয় পরিবার।
আর এই কারণেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী নাবালিকা বধূ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কাঠগড়ায় মৃতের পরিবার। ঘটনাকে ঘিরে সরগরম এলাকা । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার বিরুয়া গ্রামে।
মাত্র ১০ দিন হয়েছিল ফিরোজা ও কাশিমের বিয়ের। কাশেম প্রতিবন্ধী ছিল।অভিযোগ,প্রতিবন্ধী কাসিম কে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতেন না বধূ।
অন্যদিকে বধূর প্রেমের সম্পর্ক ছিল অন্য তরুণের সঙ্গে। শুক্রবার রাতে বধূর মা-বাবা বধূর শ্বশুরবাড়িতে আসেন। মা-বাবা মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ও শাসন করে যান।
কিন্তু বাবা-মায়ের শাসনটাই কি কাল হয়ে দাঁড়ালো? পরের দিন শনিবার সকালে বাড়ি থেকে পাঁচশ মিটার দূরে আমবাগানে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী হয় বধূ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ফিরোজা খাতুন(১৫)। আম বাগান থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।