চিতাবাঘের হানা, জখম তিনজন – ঘটনায় জোর আতংক।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ক্রান্তি :: বুধবার ১৪,মে :: চিতাবাঘের হানা, জখম তিনজন। ঘটনায় জোর আতংক। অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করে মুর্তিমান আতংককে খাচাবন্দী করল বনকর্মীরা। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনা ছিলো জলপাইগুড়ি জেলার, ক্রান্তি ব্লকের লালবাড়ি এলাকায় ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাড়ি এলাকায় একটি চিতাবাঘ গত পাঁচদিন ধরে উপদ্রব চালাচ্ছিলো । বাড়ি ঢুকে গবাদিপশু সাবাড় করত প্রতিদিন। গতকাল রাতেও তার বাড়ির খাটের নীচে চিতাবাঘটি লুকিয়ে ছিলো বলে স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি জানিয়েছেন।

আজ সকালে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের নজরে পড়ে চিতাবাঘটি এলাকায় ছোট চা রাগানের মধ্যে ঘাপটি মেরে রয়েছে। খবর চাউর হতেই আতংক ছড়ায় এলাকায়। আতংকে বাড়ি ছেড়ে বহু মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে বনবিভাগের কাঠামবাড়ি এবং আপালচাঁদ রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

আসে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ। মাইকিং করে গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয় পুলিশ ও বনদফতরের পক্ষ থেকে। তবে তাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে তাড়ানোর জন্য পটকা ফাটায়। সেই পটকার আওয়াজে চিতবাঘটি বাইরে বেরিয়ে আসে এবং পালানোর চেস্টা করে। সেই সময় এক ব্যক্তি সামনে পড়ে যাওয়ায় তাকে জখম করে চিতাবাঘটি।

পরে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। চিতাবাঘের সামনে পড়ে পালাতে গিয়ে জখম হন এক পুলিশকর্মীও। এরপর ফের চা বাগানের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। তাকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিলো না।

                                           ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করা হয়।

এদিকে বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরের খুনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে।

সেখানকার বনকর্মীরা প্রথমে জাল পাতেন। তাতেও লাভ না হওয়ায় এরপর জালে মুড়ে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে গরুমারার জঙ্গলে স্বাভাবিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে বনদফতর সূত্রে। বাঘবন্দী খেলা সাঙ্গ হওয়ায় স্থানীয়রাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + ten =