নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: বুধবার ১৪,মে :: দিনের পর দিন চা শ্রমিকদের ঠকিয়ে রেশন সামগ্রী আত্মসাথ করে চলেছিল রেশন ডিলার সৃষ্টি ক্লাস্টার।শুধু এক জায়গায় ঠকাচ্ছে না ঠকাচ্ছে ওজনের যন্ত্রেও, অভিযোগ করতে গেলে মিলছিল হুমকি, আর সেই খবর পেয়ে আমরা পৌঁছে গেছিলাম রাজা চা বাগানে।
প্রথমত যেখানে আঙুলের ছাপ নিয়ে রেশনের স্লিপ দেওয়া হচ্ছে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি কাটা কিন্তু গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে ২০০ মিটার দূরে যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে অপর এক ওজন যন্ত্র ।
স্লিপ দেওয়ার সময় স্লিপের আংশিক অংশ নিয়ে গ্রাহকেরা রেশন সংগ্রহ করছে । AAY কার্ডে যেখানে গ্রাহকদের পরিবার পিছু মত ৩৫ কিলো সামগ্রী বরাদ্দ রয়েছে সেখানে দেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ কিলো সামগ্রী।
পাশাপাশি যে ওজন যন্ত্র দিয়ে ওজন করে গ্রাহকদের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে সেই সামগ্রী সরকারি ওজন যন্ত্রে ওজন করলে সেখানে দেখা যাচ্ছে ওজন প্রায় এক থেকে দুই কিলো কম। এইভাবেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রেশন সামগ্রী দিয়ে চলেছে রেশন ডিলার সৃষ্টি ক্লাস্টার । যার লাইসেন্স নাম্বার WB0328813188।
গ্রাহকদের আরও অভিযোগ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয় তাদের রেশন বন্ধ করে দেওয়ার। সেই ভয়ে গরিব চা শ্রমিকেরা কিছু বলতে সাহস করত না। এদিন সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উপরে দেয় গ্রামবাসীদের একাংশ।
তবে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলতে নারাজ দপ্তরের আধিকারিকেরা।