নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: রবিবার ২৫,মে :: দিনের পর দিন শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন। কোথাও বা চা বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার চা বাগান টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে কাজ হারাতে হচ্ছে শ্রমিকদের। একই রকম ভাবে ভদ্রকালী চা বাগান বিক্রির অভিযোগে সরব বাগানের শ্রমিকরা।
রবিবার বাগানের শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ভদ্রকালী চা বাগান অফিসের গেটে শ্রমিকদের গেট মিটিং করা হয়। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে ভদ্রকালী চা বাগান বেশ কয়েকবার এর আগে বিক্রি হয়েছিল। পুনরায় এই বাগান বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই বাগানে বিগত দিনে প্রায় ৮০০ একর এর বেশি জমি ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন বারবার বিক্রি করার ফলে রয়েছে মাত্র 430 একর জমি। শ্রমিক সংখ্যাও রয়েছে প্রায় ৪০০ ।
শ্রমিকরা বাগান বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরেই গেট মিটিং এর আয়োজন করেন। তারা আরো জানিয়েছেন বাগান বিক্রির বিষয়টি পুনরায় জানতে পারলে এর থেকে বৃহতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
তারা চাইছে না, চা বাগান বিক্রি করা হোক। এরকম করে চা শিল্প নষ্টের দিকে এগোচ্ছে বলে দাবি করেন তারা ।
এই দিন ভদ্রকালী চা বাগানের গেটের সামনে মিটিং করা হয়। এই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সদস্যরা সহ গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুইট মোহাম্মদ, আরশাদ আলী, মোস্তফা, সমস্ত শ্রমিক ও ইউনিয়নের নেতৃত্বরা।
শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভদ্রকালী টি এস্টেট এর বর্তমান ম্যানেজার অমিত তিওয়ারির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পরিষ্কার জানান বাগান বিক্রি হয়নি ।
