সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: মহেশতলা :: বৃহস্পতিবার ৫,জুন :: মহেশতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত এক কিশোর। পরিবারের লোকজনের দাবি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় কিশোরকে।
আক্রান্ত ওই কিশোরের নাম সামসাদ আলী (১৪) বাড়ি ইসলামপুর থানার ছোঘরিয়া এলাকায়।জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার মহেশতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কানকুলি পূর্বপাড়ায় জিন্সের প্যান্ট রং করার কারখানা আছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আনুমানিক প্রায় তিন বছর আগে ভাড়া নিয়ে ওই কারখানা চালাচ্ছিলেন শাহেনশা নামে এক ব্যক্তি।
ইসলামপুরের ওই কিশোর দাদার সঙ্গে সেই কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল। নাবালক হলেও কেন তাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও উঠেছে। এদিকে, ওই কারখানায় নারকীয় অত্যাচারের শিকার হল ওই বছর ১৪-এর কিশোর। কারখানায় একটি মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সেই ফোন ওই কিশোর চুরি করেছে বলে অপবাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তারই শাস্তিস্বরূপ কিশোরের উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। কোনও একটি কাজ দিয়ে কিশোরের দাদাকে কারখানার বাইরে পাঠানো হয়েছিল। সে সময়ে ওই কিশোরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সেখানেই খান্ত হয়নি। এরপর ওই কিশোরের হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে উলটো করে ঝুলিয়ে এরপর ইলেকট্রিকের শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের দাগও হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
সেই ঘটনার ভিডিও করা হয়েছিল। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়। ইসলামপুরে ওই কিশোরের পরিবারও ঘটনার কথা জানতে পারে। মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে সব কথা ওই কিশোর জানিয়েছে বলে খবর।
রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানির পরই কারখানার মালিক শাহেনশা নামক ব্যক্তি পলাতক।