নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শনিবার ১৪,জুন :: ২০২৩ সালের ৩ মার্চ, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি একটি প্রেস কনফারেন্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক ঘোষের একটি বইয়ের উল্লেখ করেন, যা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বিতর্কিত দাবি করে।
এই মন্তব্যের পর, বাগচির বিরুদ্ধে কলকাতার বড়তলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে, ৪ মার্চ ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে পুলিশ বাগচির বারাকপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বাগচির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে ১২০(বি) (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৫৪এ (যৌন হয়রানি), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৫ (শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে উস্কানি), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং ৫০৯ (মহিলার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে মন্তব্য) অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত তাকে ১,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে এবং তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতি সপ্তাহে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
বাগচির গ্রেপ্তারের পর কংগ্রেস কর্মীরা আদালত চত্বরে এবং বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিজেপি, সিপিএমসহ বিরোধী দলগুলো এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ব্যক্তিগতভাবে বাগচির মন্তব্যের সমালোচনা করলেও, গ্রেপ্তারের পদ্ধতিকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ জুন ২০২৫-এ হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৌস্তভ বাগচির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, এবং আদালত তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।