সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: বৃহস্পতিবার ১৯,জুন :: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকার বিচ্ছিন্ন একটি দিক হলো গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের হাত ধরে। গঙ্গাসাগরের দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য একমাত্র হাসপাতাল হল সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল।
গঙ্গাসাগরের প্রত্যন্ত দ্বীপের গর্ভবতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কিংবা অস্ত্রোপচার করার জন্য নদী পেরিয়ে যেতে হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মুড়িগঙ্গা নদী প্রায় সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারণে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এর ফলে নদী পার হওয়া কার্যত দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা গঙ্গাসাগরের সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে মাতৃত্বকালীন গর্ভবতী মায়েদের অস্ত্রপ্রচার করার জন্য আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে সপ্তাহে তিন দিন গর্ভবতী মায়েদের অস্ত্রোপচারে সুবিধা দেয়া হবে এমনটাই জানানো হয়েছিল।
কিন্তু সমস্যা একটাই সপ্তাহে তিন দিন যদি অস্ত্র প্রচারের সুবিধা পাওয়া যায় আর বাকি চার দিন অস্ত্র প্রচারের সুবিধা না পাওয়া যায় তাহলেও তো চরম বিপাকের মধ্যে পড়বে রুগি ও রোগীর আত্মীয়রা।
এর ফলে দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আবেদন করে যে শুধু তিন দিন নয়, সপ্তাহের সাত দিন সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য অস্ত্র প্রচারের সুবিধা দেয়ার জন্য।
স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে দ্বীপ এলাকার মানুষদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে গঙ্গাসাগরের সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সপ্তাহে সাত দিন অস্ত্র প্রচারের সুবিধা উপলব্ধ করা হলো।
এর ফলে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের নদী পেরিয়ে মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা করানোর জন্য যেতে হবে না আর কাকদ্বীপে। এর ফলে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি দ্রুত চিকিৎসা পাওয়ার সুবিধা পাবে সাগরদ্বীপের এলাকাবাসীরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই পরিষেবা চালু হতে খুশির হাওয়া সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের।