‘সলিল চৌধুরী মানেই এক দৃপ্ত, দৃঢ় অথচ বিনম্র মানুষ। সঙ্গীতের প্রতি তিনি একজন বিনম্র মানুষ’-দেবজ্যোতি মিশ্র

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বিনোদন ডেস্ক :: রবিবার ২২,জুন :: বর্তমান সঙ্গীত জগতে দেবজ্যোতি মিশ্র নিজের প্রতিভায় ভাস্বর। তিনি প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সলিল চৌধুরীর শুধু ছাত্র ছিলেন না, ছিলেন একজন গুনমুগ্ধ।

জীবনের মিউজিক্যাল জার্নিতে পেয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম সলিল চৌধুরীর অসামান্য সান্নিধ্য। তাঁর কাজের কথায় বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান। এবছরই সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ। ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে গুরু সলিল চৌধুরীর স্মৃতিতে কলম ধরলেন শিষ্য দেবজ্যোতি মিশ্র।

তিনি লেখেন, সলিল চৌধুরী বললেই আমার মনে পড়ে ভারতবর্ষের অন্যতম এক সঙ্গীতকার। এক সরল অথচ ঋজু, দৃঢ় কিন্তু বিনম্র মানুষের কথা। একজন ‘রেনেসাঁ ম্যান’ বা ‘যুগপুরুষ’। তিনি বিস্ময়কর। আমি আমার আঠারো বছর বয়স থেকে প্রায় ত্রিশ-বত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত সলিল চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করেছি একজন ভায়োলেনিস্ট হিসাবে।

সেই আশির দশকের গোড়া থেকে শুরু। সলিল চৌধুরী মানেই এক দৃপ্ত, দৃঢ় অথচ বিনম্র মানুষ। তাঁর গানের মাধ্যমেই তিনি বহু মানুষের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে পারতেন। সলিল চৌধুরী বললেই আমার প্রথমেই তাঁর কয়্যারের কথা মনে পড়ে যায়। ওঁর গান ও সেই গানের পিছনে আঁকাবাঁকা সেই নদীগুলোই যেন কয়্যার।

সেইসব কথা অতর্কিতে মনে পড়ে যায়। আর এর সঙ্গেই মনে পড়ে যায় তাঁর ‘না জানে কিউ’, ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘ আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম’ এই সব গানের কথা। সেইসব গানের ইন্টারলিউড ও প্রিলিউড কী সাংঘাতিক!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =