অম্বুবাচীতে কামাখ্যায় গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তি উদ্ধার হল গঙ্গাসাগর থেকে , সৌজন্যে হ্যাম রেডিও

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: বৃহস্পতিবার ৩,জুলাই :: চলতি বছরে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আসামের কামরূপ কামাখ্যায় অম্বুবাচী মেলাতে ঘুরতে যান নদীয়ার নবদ্বীপের সঞ্জীত দেবনাথ (৫৭)।

মেলাতে ঘোরার সময় হঠাৎ দলছুট হয়ে পড়ে সঞ্জীব বাবু। এরপর ঘটে অঘটন ভিড়ের মধ্যে খোয়া যায় সঞ্জীত বাবুর সমস্ত কিছু এরপর অসহায় হয়ে পড়ে।

অম্বুবাচী মেলার সময় আসামের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে নিজের সবকিছু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে সঞ্জীত দেবনাথ। বাড়ি ফিরবে কিভাবে সেই দুশ্চিন্তার মধ্যে একটু চায়ের দোকানে বসে থাকে সঞ্জীত। সেই সময় গঙ্গাসাগরের এক বাসিন্দার সঙ্গে আলাপ হয় সঞ্জীতের ।

নিজের দুর্দশার কথা খুলে বলেন সঞ্জিত। এরপর গঙ্গাসাগর থেকে কামাখ্যার মন্দিরে যাওয়া ঐ পুণ্যার্থী সঞ্জিতকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জিতের বন্ধু-বান্ধবের সন্ধান চালায় |

বহু জায়গায় বহুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর সঞ্জিতের বন্ধু-বান্ধবের কোন সন্ধান না পাওয়াতে গঙ্গাসাগরের থেকে যাওয়া ঐ পুণ্যার্থী তিনি পরিকল্পনা নেন সঞ্জিতকে নিয়ে তিনি গঙ্গাসাগরে ফিরবেন।

আসামের কামাখ্যা থেকে সঞ্জিতকে নিয়ে গঙ্গাসাগরে ফিরে আসেন তিনি। এরপর সঞ্জিতকে বাড়ি ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয় ওই ব্যক্তি। গঙ্গাসাগরে ফিরে এসে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবককে সঞ্জিতের কথা বলেন

এরপর গঙ্গাসাগরের স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক যোগাযোগ করে হ্যাম রেডিওর সঙ্গে।   শুরু হয় সঞ্জিতকে বাড়ি ফেরানোর মহতি কর্মযজ্ঞ।

হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে খোঁজা হয় সঞ্জিতের বাড়ির ঠিকানা। প্রাথমিকভাবে সঞ্জিত বাড়ির ঠিকানা জানাচ্ছিল নদীয়া কিন্তু নদীয়ার কোথায় বাড়ি সেটি ঠাউর করতে পারছিল না সে । এরপর বেশ কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয় সঞ্জিতের বাড়ির ঠিকানা। নদীয়ার নবদ্বীপের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জিত।

সঞ্জিতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে সঞ্জিতের পরিবারের সাথে কথোপকথন করার পর। নিজের পরিবারদের সদস্যদের দেখে চিনতে পারে সঞ্জিত। এরপর ছেলে সুজিত দেবনাথ ও সুমিতা দেবনাথ গঙ্গাসাগরে আসেন।

গঙ্গাসাগর পোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পার্থ সাহা ও হ্যাম রেডিও সদস্য দিবস মন্ডলের উপস্থিতিতে সঞ্জিতকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারকে খুঁজে পেয়ে খুশি সঞ্জিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =