সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বকখালি :: ঘূর্ণিঝড় “জাওয়াদ” ও অমাবস্যার কোটালের জোড়া ফলাই বিধ্বস্ত সুন্দরবন। শনিবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝড় হাওয়ার দাপট। ইতিমধ্যে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে সুন্দরবনে উপকূল তীরবর্তী এলাকার বহু নদী ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে সাগর। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলিতে জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা।
বকখালি ও মৌসুনী দ্বীপে পর্যটন কেন্দ্রে ইতিমধ্যে পর্যটক শূন্য করে দেয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সমুদ্রে নামার উপর জারি করা হয়েছে সর্তকতা। স্থানীয় প্রশাসন ও উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষকে নিরাপদ উদ্ধার করে ফ্লাট সেন্টারে আশ্রয় দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর প্রতিনিধি দলকে।
দক্ষিণ 24 পরগনা বিভিন্ন বন্দর এলাকা তে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ও কোটালের সতর্কিত করে মাইকিং করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর বেশ কিছু দলকে পাঠানো হয়েছে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকায়। জলস্ফীতির আশঙ্কা করছে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ ও টানা বৃষ্টির জেরে সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের কাজ চলছে। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবারের।
আজ সকালে বকখালি সমুদ্র সৈকতে স্থানীয় প্রশাসন ও নৌ বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মাইকিং সতর্ক করন করা হচ্ছে। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে শুরু হয়েছে বৃষ্টির দাপট। ইতিমধ্যে দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসা হয়েছে।
পরিস্থিতির ওপর সদাসর্বদা নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন। খুলে দেয়া হয়েছে ফ্লাট সেন্টার গুলিকে মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবারের। প্রশাসনিক প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।