নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: সোমবার ২১,জুলাই :: শাসক দলের কর্মসূচি বলে কথা। তার উপর আবার ২১ জুলাইয়ের শহীদ সভা। শহীদ সভায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হলেও এ বছর ওই সভা থেকেই শুরু হয়ে যাবো ২০২৬ নির্বাচন।
ফলে ওই সভা উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। স্বাভাবিক কারণেই অভিভাবক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ চিন্তিত পথে যদি পড়ুয়ারা আটকে পরে।
চারপাশে বাজবে শহীদ দিবসের মাইক। সেই সময় কিছু স্কুল থাকবে ‘নিস্তব্ধ’। সেখানে শোনা যাবে না পড়ুয়াদের গলার শব্দ। তবে এটা কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের নমুনা মোটেই নয়। শাসক শিবিরের একাংশ বলছে, এটা আসলে শহরের যানজট পরিস্থিতি থেকে পড়ুয়াদের একদিনের জন্য দূরে রাখা।
একটু ‘বিরতি’ দেওয়া। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবিও একই। অভিভাবকদের বাড়তি চিন্তা, ছেলেমেয়েদের রাস্তার যানজট থেকে দূরে রাখতেই ২১ তারিখ বন্ধ থাকবে স্কুল। ২১ জুলাই বন্ধ থাকছে ডন বসকো, ক্যালকাটা গার্লস, সেন্ট জেমস স্কুল, ডিপিএস মেগা সিটি, ডিপিএস রুবি পার্ক ও অভিনব ভারতী।
তবে এই সকল বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ একদিনের জন্য পড়াশোনা থেকে ছুটি দেওয়ার কথা ভাবলেও, লা মার্টিনিয়ার ও বিএসএস স্কুল কিন্তু বেছে নিয়েছে ‘ডিজিটাল’ পথ। তাদের ক্লাস হবে অনলাইনে।
এদিন লা মার্টিনিয়ার সেক্রেটারি সুপ্রিয় ধর বললেন, ‘এটা সত্যি চিন্তাদায়ক। পড়ুয়ারা যখন ফেরে তখন বাজবে ১টা। কোনও ক্রমে যানজটে আটকে গেলে বাড়ি ফিরতে বেজে যাবে ৫টা। যা অভিভাবকদের জন্যও চিন্তাদায়ক।
তাই এই ব্যবস্থা। কিন্তু পড়াশোনার তো ক্ষতি হচ্ছে না। অনলাইনে ক্লাসে হবে।’ অন্যদিকে, শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকারের দাবি, ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ের যা সংস্কৃতি, মানে এই মিটিং, মিছিল এটা করা মোটেই ভুল নয়। কিন্তু এটা খেয়াল রাখা উচিত আমার এই কার্যকলাপের জন্য একদিন শিক্ষার পাট চুকিয়ে দিতে হল। এটা ভয়ঙ্কর।’