সজল দাশ্গুত :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি :: মঙ্গলবার ২২,জুলাই :: শিলিগুড়িতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে উদ্ধার ৫৬ জন যুবতী।এনজেপি স্টেশন থেকে পাটনা অভিমুখে যাওয়া ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস থেকে ওই যুবতীদের উদ্ধার করল নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপি এবং আরপিএফ।
সোমবার রাতে ওই যুবতীদের উদ্ধার করে তাদের পরিবারকে ডেকে পরিবারের হাতে প্রত্যেককে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আইফোন কোম্পানিতে কাজের টোপ দিয়ে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার,আলিপুরদুয়ার এবং ডুয়ার্সের বেশ ৫৬জন যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারকিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ওই যুবতী এবং তাদের পরিবারকে বলা হয়েছিল ওই যুবতীদের কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্গালোরে।কিন্তু তাদের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নিয়ে এসে তোলা হয় এনজেপি পাটনা ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস এ।
আরেকটি চাঞ্চল্যকর বিষয়, কারো কাছেই ছিল না টিকিট, প্রত্যেকের হাতেই মেরে দেওয়া হয়েছিল কোচ নাম্বার এবং বার্থ নাম্বারের সিল।
সোমবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন জিআরপি এবং আরপিএফ ট্রেন তল্লাশি চালানোর সময় ওই যুবতীদের একসাথে দেখেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একসাথে এত যুবতী যাচ্ছে কোথায়, বিষয়টি নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপি এবং আরপিএফ এর।
এরপর দফায় দফায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জানা যায় ওই যুবতীদের এবং তাদের পরিবারকে বলা হয়েছে একটি বেসরকারি কোম্পানি যার নাম আইফোন বাঙ্গালোরে নাকি ওই কোম্পানিতে তাদের চাকরি দেওয়া হবে। এরপরেই আরও সন্দেহ বাড়ে জিআরপি এবং আরপিএফ এর।
কারণ, তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্গালোর, কিন্তু তোলা হয় বিহারের ট্রেনে,কেন?এরপর ওই যুবতীরা জানায়, কলকাতার বাসিন্দা জিতেন্দ্র পাশওয়ান এবং শিলিগুড়ির চন্দ্রিকা তাদের নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর আরপিএফ এবং জিআরপি জিতেন্দ্র এবং চন্দ্রিকার খোঁজ লাগায়। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেই আটক করা হয় দুজনকে।
দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দফায় দফায়। দুজনের কথাতেই মেলে অসংগতি। এরপর ওই ট্রেন থেকে নামানো হয় ৫৬ জন যুবতীকে। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন জিআরপি থানায়।প্রত্যেকের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়।
নিউ জলপাইগুড়ি জিআরপি এবং আর পি এফ ওই ৫৬ জন যুবতীকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনায় কলকাতার জিতেন্দ্র পাশওয়ান এবং চন্দ্রিকা নামে শিলিগুড়ির এক মহিলাকে আটক করেছে জিআরপি। দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
ব্যাঙ্গালোরে ওই যুবতীদের কোন কোম্পানিতে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার কোন নথি দেখাতে পারেনি দুইজন। পাশাপাশি তাদেরকে বিহারের ট্রেনে কেন তোলা হলো? তারও কোন সদুত্তর মিলছে না। গোটা ঘটনার তদন্তে জিআরপি এবং আরপিএফ এর উচ্চ পদস্থ কর্তারা।