নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: উত্তরকাশী :: বুধবার ৬,আগস্ট :: ৫ই আগস্ট ২০২৫ দুপুর প্রায় ১:৪৫–১:৫০টা-র দিকে উত্তরকাশীর ধরালী গ্রামে, খীরগঙ্গা নদীর উপক catchment area‑এ হঠাৎ একাধিক ক্লাউডবাস্ট হয়। ফলশ্রুতি হিসেবে ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও মাটির স্লাইড সৃষ্টি হয় যা গ্রামটির অধিকাংশ অংশ, হোটেল, দোকান, বাড়িঘর ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
এ দুর্যোগের কারণে কমপক্ষে ৪ জন নিহত, এবং ৬০–১০০ জন পর্যন্ত নিখোঁজ হতে পারে। প্রায় ২০–২৫টি হোটেল বা হোমস্টে এবং ৩০–৪০ টি বাড়ি ধুয়ে যায় ।
উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনা (Ibex Brigade), NDRF, SDRF, ITBP ও স্থানীয় প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে; আপডেট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ১৩৮ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু ৭০–৮০ জন এখনও নিখোঁজ ।
উক্ত দুর্ঘটনার পর ভারতীয় আবহাওয়া দফতর দেহরাদুন ও অন্যান্য উত্তরাখণ্ড জেলার জন্য ৩ দিনের অরেঞ্জ এলার্ট, এবং সাতাদিন পর্যন্ত রেড অরেঞ্জ সতর্কতা জারি করেছে, কারণ ৬–৯ আগস্টের মধ্যে অতি ভারী বৃষ্টি ’র সম্ভাবনা রয়েছে ।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালকরা — যেমন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী ও কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রি অমিত শাহ — ঘটনাস্থলে এবং দেহরাদুন থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করছেন। উন্নত উদ্ধার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রচেষ্টা চলছে ।
ধরালি গ্রাম – ৫ আগস্ট ২০২৫:
হঠাৎ ক্লাউডবার্স্ট: ক্ষীরগঙ্গা নদীর উপরের সেই এলাকায় আকস্মিক মেঘফাটার কারণে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে মাত্র কয়েক মিনিটে ।
সম্পূর্ণ গ্রাম, প্রায় ৪০‑৫০টি বাড়ি, দোকান, হোটেল এবং গেস্টহাউস জলে ভেসে যায় বা ধ্বংস হয় । স্থানীয় দৃশ্যপটে একটি ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা যায় কাঁচের মত ভাঙছে বাড়িগুলো, মানুষ চিৎকার করে দৌড়াতে থাকেন মাত্র ২০ সেকেন্ডের সময়ের মধ্যে ।
নিশ্চিত মৃত্যু: কমপক্ষে ৪ জন মারা যান । নিখোঁজ: প্রাথমিক হিসেবে প্রায় ৫০‑১০০ জন নিখোঁজ হিসেবে বিবেচিত, যাদের মধ্যে কয়েকজন সেনা সদস্যও রয়েছেন .
এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, সেনাবাহিনী, আইটিবিপি অভিযান চালাচ্ছে আহতদের উদ্ধারে, ঘুরে এলাকা পরিষ্কারে এবং বাসস্থান ব্যবস্থাপনায় । উদ্ধার কাজে ড্রোন, থার্মাল ক্যামেরা, ট্র্যাকার কুকুর ও স্যাটেলাইট ফোনও ব্যবহার করা হচ্ছে ।
আলোকপাত হয়েছে ২০১৩-এর কেদারনাথ দুর্যোগ-এর মতো অতীত বিপর্যয়ের সঙ্গে — যেখানে ৬,০৫৪‑এর বেশি প্রাণহানি ঘটে এবং হাজারো গ্রাম ধ্বংস হয় । বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, হিমালয়ের অপ্রাকৃতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে .
VIDEO & PICS COURTESY INTERNET