ডিএ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের মন্তব্য এ যেন মহাজনী কারবার – মন্তব্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক কলকাতা :: বুধবার ৬,আগস্ট :: এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমে সওয়াল করেন মামলাকারীদের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। তিনি দাবি করেন, ‘দিল্লির বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় হারে।

অর্থাৎ তাঁদের ডিএ হিসাব করা হচ্ছে এআইপিসিআই অনুযায়ী। অথচ পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অন্য সরকারি কর্মচারীরা সেই হারে ডিএ পাচ্ছেন না।’ তারপরই মামলাকারীদের আইনজীবীর ব্যাখ্যা, ‘সব কর্মচারীর উপরই রিভাইজড পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স রুলস, ২০০৯ কার্যকর।

তাই কাউকে বেশি ডিএ দেওয়া এবং কাউকে কম ডিএ দেওয়া বৈষম্যমূলক। এই বৈষম্য সমতার অধিকার (সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪) লঙ্ঘন করে।’

এরপরই চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের । উঠে আসে সুদের কারবারিদের প্রসঙ্গ।

ইউনিয়ন-কর্মচারী পক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে সরকারি পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে ডি এ ‑র হার প্রতিটি রাজ্য নিজস্ব অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করে।

কর্মচারীদের দাবি—কেন DA কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মত ৫৫% হারে দেওয়া হবে না? WB সরকার জানায়, DA‑এর জন্য কোনো কেন্দ্রীয় বিধান নেই; প্রতিটি রাজ্যই স্বাধীনভাবে হার নির্ধারণ   করে ।

এই শুনানি আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। সুপ্রীম কোর্টের দেওয়া May 16‑এর আদেশে ২৫% DA-র টাকা রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহে জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল, কিন্তু তা পালন না হওয়ার কারণে প্রধান উভয় modified application ও contempt proceedings বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে ।

সর্বোচ্চ আদালত বলছে: সময় নষ্ট করা যাবেনা, মক্কেল এবং রাষ্ট্রপক্ষকে সুস্পষ্ট যুক্তি দিতে হবে; বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =