নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: রবিবার ১০,আগস্ট :: উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে স্থানীয় প্রশাসন পরিবারগুলির হাতে তুলে দিয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকার চেক ।
অনুদানের অঙ্ক দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দুর্যোগের ফলে যা ক্ষতি হয়েছে সেই তুলনায় এই পরিমাণ অনুদান ‘অপর্যাপ্ত’। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছে পরিবারগুলি।
গত মঙ্গলবারই দুপুরে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর উত্তরকাশীর ক্ষীরগঙ্গা নদীতে হড়পা নেমে আসে। পাহাড়ের থেকে কাদা-জল, পাথরের জেরে মুহূর্তের মধ্যেই ধারালি গ্রামের অন্তত অর্ধেক অংশ চাপা পড়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও অব্যাহত রয়েছে উদ্ধারকাজ।
এই দুর্যোগের পরই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘোষণা করেছিলেন, যাঁদের বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে দুর্যোগে নিহতদের পরিবারগুলির জন্যও একই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ঘটনা পীড়িতদের এই চেক দেওয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিক সাহায্য হিসাবে ।
তাত্ক্ষণিক সহায়তা হিসেবে কিছু গ্রামবাসীদের প্রত্যেকে ₹৫০০০ করে চেক দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এটি “অপর্যাপ্ত” বলে বিবেচনা করেছেন এবং কড়া সমালোচনা করেছেন।
এরপরেই, উচ্চ পর্যায় থেকে ঘোষণা করা হয়: ঘরহীন বা মৃত পরিবারদের জন্য ₹৫ লাখ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া, রাজ্য সরকার ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ₹২০ কোটি বরাদ্দ করেছে।
ধাপ সহায়তার ধরণ পরিমাণ
১ তাত্ক্ষণিক ত্রাণ (ভূমিধস/বন্যার সময়) ₹৫,000 প্রতি পরিবার
২ ক্ষতিপূরণ (বাড়ি ধসে যাওয়া বা মৃত্যু) ₹৫ লাখ প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
৩ সার্বিক উদ্ধার ও পুনর্বাসনের তহবিল ₹২০ কোটি
সুতরাং, কেবলমাত্র ₹৫০০০ নয়, তা ছিল একটি প্রাথমিক সহায়তা। পরবর্তীতে আরও বিপুল অর্থায়ন ও প্রয়াস করা হয়েছে — ₹৫ লক্ষ ও ₹২০ কোটি পর্যন্ত — যা বিপর্যয় মোকাবিলার যথার্থ প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে যে সহায়তা মাত্র পাঁচ হাজার সেটা কিন্তু বাস্তব সম্মত নয়