নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: বুধবার ১৩,আগস্ট :: বিশ্ব নেকড়ে দিবসে নেকড়ে বাঁচানোর বিশেষ উদ্যোগ নিল বনদপ্তর। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উইংস বনদপ্তরের সাথে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে।
বুধবার দুপুর দুটোয় বিশ্ব নেকড়ে দিবসে নেকড়ে ও হায়নাদের অস্তিত্ব ও সংরক্ষণ নিয়ে দুর্গাপুরে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে ‘নেকড়ে বাঁচাও’ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বন সংরক্ষক বিদ্যুৎ সরকার দুর্গাপুর বন বিভাগের বনাধিকারিক অনুপম খান বর্ধমান বন বিভাগের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বনদপ্তরের সমস্ত আধিকারিকরা।
উইংসের মতে ধূসর নেকড়ে ও হায়না বনের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু শিল্পায়ন, খনির সম্প্রসারণ ও মানুষের অনুপ্রবেশে তাদের বাসস্থান ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তবুও বনদপ্তরের বাড়তি নজরদারি ও উইংসের গবেষণা এই বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নতুন আশা জাগাচ্ছে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর কাঁকসার জঙ্গলে নেকড়ের প্রজনন বাড়ছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধায়গঞ্জের জঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে নেকড়ের প্রজনন। তাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
উইংসের সদস্যরাও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন । এদিনের মূল বার্তা ছিল একটাই, যদি এই ধরনের বন্যপ্রাণীরা হারিয়ে যায় তবে নষ্ট হবে বনের বাস্তুতন্ত্র। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থানের পথই তাদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়।