সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: বুধবার ২০,আগস্ট :: মা দেখতে চেয়েছিল রাগ অভিমান ভুলে ছেলে ফিরে আসে কি”না, ছেলে না ফিরলেও স্বামী চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শেষকৃত্য সম্পন্ন করলো প্রশাসনের লোকজন।
গত কদিন আগে মায়ের হাতে ৩০০ টাকা গুঁজে দিয়ে বারুইপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে বৃদ্ধ বাবা ও মা কে ফেলে রেখে বেপাত্তা হয়েছিল গুণধর ছেলে। কারোর খোঁজ না পেয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং পুরসভার দৌলতে মা-বাবার ঠাঁই হয় স্থানীয় হোমে।আর শেষ পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতায় ৭৫ বছরের গোবিন্দ বাবুর মৃত্যু হয়। কিন্তু ছেলে তো ফেরেনি। স্বামীর মৃতদেহ শশ্মানে যাবে কীভাবে ? সৎকার কাজ হবে কীভাবে সেই ভেবেই দিশেহারা হয়ে উঠেছিলেন বৃদ্ধা ৬৯ বছরের কমলা পুরকাইত।
শেষ পর্যন্ত অজানা অপরিচিত এলাকার মানুষজন , পুলিস প্রশাসন ও পুরসভার লোকজন এর সহায়তায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কীর্তনখোলা মহাশ্মশানে।
বৃদ্ধ দম্পতির নাম কমলা পুরকাইত ও গোবিন্দ পুরকাইত। গোবিন্দ বাবু যথেষ্ট অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। কার্যত হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। কমলা পুরকাইত জানান, তাঁদের বাড়ি রায়চক এলাকায়।
একমাত্র ছেলে জয়ন্ত পুরকাইত কথা দিয়েছিল তিনদিন পরে ফিরে আসবে । দেখতে দেখতে সপ্তাহ পার হলেও ছেলে ফিরল না অন্যদিকে স্বামী চলে গেল না ফেরার দেশে।