নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বক্রেশ্বর :: শুক্রবার ২২,আগস্ট :: বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে চুল্লির দাবি সাধারণ মানুষের। প্রতি মাসেই শতাধিক মৃতদেহের সৎকার হয় এই শ্মশান দু’টিতে। কাঠের চুল্লিতে দাহের পর অবশিষ্টাংশ সহ অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয় যথাক্রমে ময়ূরাক্ষী ও বক্রেশ্বর নদীতে।
তাই দুই নদীতেই ব্যাপক দূষণ হচ্ছে বলে মানুষের অভিযোগ। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের গোয়ালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বক্রেশ্বর পীঠস্থান। সেখানে বক্রেশ্বর নদীর ধারে মহাশ্মশান।সেই শ্মশানে দাহ করার নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও সাধারণ মানুষ বক্রেশ্বর নদীর গর্ভেই মৃতদেহ দাহ করেন দীর্ঘদিন ধরে। এর ফলে দিনের পর দিন বক্রেশ্বর নদীতে বাড়ছে দূষণ।
তাই জেলা পরিষদের উদ্যোগে বক্রেশ্বর নদীর ধারে বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে দুটি বার্নিং শেড অর্থাৎ ছাদ ঢাকা চুল্লি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দু’টি চুল্লি করতে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দাবি, এই মহাশ্মশানে চুল্লি বসানো খুবই দরকার।
অন্যদিকে একই ভাবে বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি তিলপাড়ার সতীঘাটা শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার জন্য চার-পাঁচটি ছাদ যুক্ত কংক্রিটের চুল্লি রয়েছে। সেখানে কাঠ জ্বালিয়ে মৃতদেহ সৎকার করা হয়। একটি চুল্লি বসানোর দাবি মানুষের। শ্মশানের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে।
তবে এখন অনেক কাজ বাকি রয়েছে। শুধু শ্মশানের উন্নয়ন নয়, এলাকায় নজরদারি রাখতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। এছাড়াও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।