নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ ::কোলকাতা :: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগাল্যান্ডে রাজ্যে সেনাবাহিনীর ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সেখানকার পুলিশ। এফআইআরে রাজ্য পুলিশ অভিযোগ তুলে বলেছে, এলাকাবাসীকে হত্যা ও আহত করার উদ্দেশ্যেই দলটি সেখানে গিয়েছিল। এ খবর এনডিটিভির।
পুলিশ বলছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যাওয়ার আগে পুলিশকে বিষয়টি জানাননি কিংবা তাঁরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যাননি।রাজ্য পুলিশের এফআইআরের সূত্র দিয়ে এনডিটিভির খবরে আরও জানানো হয়, এফআইআরের কপিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানে যাওয়ার সময় পুলিশের কোনো সহায়তার জন্য থানায় কিছু জানায়নি। এতে এটা স্পষ্ট যে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ এলাকাবাসীকে হতাহত করা।
ওই এএফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কয়লাখনির শ্রমিকেরা কাজ শেষে একটি গাড়িতে করে তিরু থেকে অটিং গ্রামে ফিরছিলেন। তিরু ও অটিং গ্রামের মধ্যবর্তী লংখাও এলাকায় পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনী কোনো উসকানি ছাড়াই তাঁদের ওপর নির্বিচার গুলি ছোড়ে। এতে অনেকে হতাহত হন।
নাগাল্যান্ড পুলিশ তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লাশগুলো অন্য আরেকটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন। বিভিন্ন সূত্র বলছে, একটি ত্রিপলের নিচে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হন। পরে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে হিংস্র আন্দোলন শুরু করে ।
এই ঘটনার জেরে সেনা বাহিনীর অন্তত তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পর ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পরপর সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে প্রশাসন। ঘটনার গুজব ছড়ানো এড়াতে মোন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।