সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: সোমবার ১,সেপ্টেম্বর :: একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় তছনছ হয়ে গিয়েছে সাগরদ্বীপ। নদী ভাঙনের জেরে একটু একটু করে এগিয়ে এসেছে সমুদ্র।
কপিলমুনি মন্দির থেকে বঙ্গোপসাগরের দূরত্ব এখন মাত্র দেড়শ মিটার। নদী ভাঙনের ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে রাজ্য সরকারের।অধিক ভাঙন দেখা দিয়েছে গঙ্গাসাগরের দু নম্বর স্নান ঘাটের কাছে। ২০২৬ এর গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। নদী ভাঙনের জেরে ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে গঙ্গাসাগরের মেলার মাঠ।
মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে মোক্ষ লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা কপিল মুনির পাদদেশে ভিড় জমায়। ২০২৬ এর গঙ্গাসাগর মেলাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পূজোর আগেই প্রশাসনিক বৈঠক করলেন জেলার একাধিক আধিকারিকেরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক আধিকারিকেরা।
এই মুহূর্তে উপকূলের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সমুদ্রেতটে নামা তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে ঘোরাঘুরি করাটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। উপকূলে বঙ্গোপসাগরের বাঁধ বলতে এখন আর কিছুই নেই।
শুধু বেশ কিছু সারি সারি খুঁটি দাঁড়িয়ে রয়েছে উপকূলজুড়ে। বালি এবং মাটির বস্তা সমুদ্রের ঢেউয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে। আপৎকালীন মেরামতির কাজ চালাচ্ছে সেচ দপ্তর।একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং
কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কপিলমুনির মন্দিরের সামনে এক থেকে ছয় নম্বর রাস্তা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত।
ফলে সমুদ্রতটে ভাঙাচোরা কংক্রিটের চাঙড় ও ইঁটের টুকরোর উপর দিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।সব দপ্তরকে মেলার জন্য দ্রুত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
মেলা চলাকালীন টেলি পরিষেবার পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘২০২৬ সালের সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে এটাই প্রথম বৈঠক।