নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: শনিবার ৬,সেপ্টেম্বর :: চাঁচল থানাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থামছে না। শুক্রবার দুপুর থানার সামনে ধর্নায় বসেছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়ে নিরপরাধ বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে, অথচ প্রকৃত দোষীরা রয়ে যাচ্ছে অধরা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আশ্রমপাড়ায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা ও বিজেপি সদস্যা প্রিয়াঙ্কা হালদারের স্বামী সুমিত সরকারের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি জয়ন্ত দাসেরও।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুব তৃণমূল নেতা বেল্ট খুলে মারধর করছেন। ঘটনায় উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। গুরুতর জখম হন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা।
ঘটনার পর একাধিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগকারীদের দাবি, সুমিত সরকার ও যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস এখনও অধরা। বিজেপির অভিযোগ, চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু ইচ্ছে করে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাচ্ছেন এবং প্রকৃত দোষীদের আড়াল করছেন। এই ইস্যুতেই শুক্রবার থেকে ধর্নায় বসেন সাংসদ খগেন মুর্মু।
শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেয়। কোর্টে আসামি নিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপি সাংসদ ও কর্মীরা পুলিশের গাড়ি আটকে দেন। দাবি ওঠে—আইসি সামনে এসে কথা না বলা পর্যন্ত প্রিজন ভ্যান ছাড়া হবে না।
এর জেরেই পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আক্রান্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু, আহত হন বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীও। বিজেপির অভিযোগ, পুরুষ পুলিশ কর্মীরাই মহিলা কর্মীদের মারধর করেছে।