নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাঠমান্ডু :: মঙ্গলবার ৯,সেপ্টেম্বর :: ক্রমবর্ধমান জনরোষ ও টানা বিক্ষোভের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ একাধিক শহরে ছাত্র-যুব সংগঠন ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বেকারত্ব ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেনা মোতায়েন করেও অশান্তি দমন সম্ভব হয়নি। কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতির বাড়ি ও সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। নেপালের সেনা প্রধান জেনারেল অশোক সিদ্গেল
চূড়ান্ত চাপের মুখে সোমবার রাতে পদত্যাগপত্র পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নেপালের সাম্প্রতিক অস্থিরতা প্রতিবেশী দেশগুলির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষ চাইছে, দ্রুত স্থিতিশীল সরকার গঠিত হোক এবং দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
অনেকে আবার এটাও মনে করছেন যে নেপালের সেনা প্রধানের পরামর্শেই অলি পদত্যাগ করেন| মৃত্যু হয় অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর। এরপর বিক্ষোভের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। বিক্ষোভের তীব্রতা এতটাই ছিল যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি স্বাস্থের অজুহাতে দুবাই পালাতে চেয়ে ছিলেন | হিমালয়ান এয়ার এর একটি বিমান ও তৈরী ছিল |