যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাওবাদী নেতা হয়েও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অর্ণব দাম। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থেকেও বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন তিনি

নিজস্ব সংবাদদাত :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বুধবার ১০,সেপ্টেম্বর :: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাওবাদী নেতা হয়েও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অর্ণব দাম। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থেকেও বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন তিনি।

তবে গবেষণার কাজ করার অনুমতি মিললেও, স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই দাবিতে অনশন শুরু করেন অর্ণব। মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ধরে তিনি অনশনে ছিলেন ।অর্ণব দামের অভিযোগ, সরকার তাঁর মেধাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমনকি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ বণ্টনে স্বজনপোষণের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

স্কলারশিপের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লেখার পরও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি তাঁর। অর্ণবের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর (APDR)।

সংগঠনের ছসদস্যের প্রতিনিধি দল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি ক্যাম্পাসে পৌঁছে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।

পরে এক প্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, “অর্ণব পিএইচডি করছে, অথচ তাকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়নি। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, হয়তো রাজনৈতিক কারণে। একজন জেলবন্দি থেকেও পিএইচডি করছে, এটা গর্বের বিষয়। তার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত”।

প্রতিনিধি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য অর্ণবের নাম পাঠানো হলেও সরকার একটি সার্কুলারের কারণ দেখিয়ে আবেদন নাকচ করেছে। এপিডিআরের দাবি, বিষয়টি অন্যায্য, এবং তারা বিভিন্ন স্তরে প্রতিবাদ জানাবে।

এপিডিআর এর সদস্যা জয়শ্রী পাল জানান, ‘যার রাজনীতি তার- তার। কোন মানুষ তার নিজস্ব ভাবাদর্শে হতেই পারে কিন্তু কোন রাজনীতি করে বলে কখনো কোন অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।

রাজ্য সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। দরকার হলে অর্ণব যদি রাজি থাকে সে হাইকোর্টে যাবে এপিডিআর তার সঙ্গে থাকবে।

আমরা অর্ণবের সাথে কথা বলব। দেখা করব এবং তাকে অনশন তুলে নিতে অনুরোধ জানাবো কারণ ইতিমধ্যেই তার প্রেশার ফল করতে শুরু করেছে “।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + two =