সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ফ্রেজারগঞ্জ :: শুক্রবার ১৮,সেপ্টেম্বর ::-আবারও ভারতীয় জলসীমানা লংঘন করায় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক ১৩ জন মৎস্যজীবী সহ একটি ট্রলার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরে টহল দেওয়ার সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষীর বাহিনী নজরে আসছে একটি সন্দেহজনক ট্রলার।
এরপর ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ওই ট্রলারটির কাছে যায় এবং ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী জানতে পারে এই ট্রলারটি বাংলাদেশ থেকে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। এরপর মাছ ধরার সময় জল সীমানা লংঘন করেন এই ট্রলার।উপকূল রক্ষী বাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে আটক ট্রলারটির নাম “মায়ের দয়া”। এই ট্রলারটিতে ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিল। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী আটক ঐ ট্রলারটিকে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে তুলে দেয়।
ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।
১৩ জন মৎস্যজীবীকে বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে পেশ করা হয় । সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল লাগলো এলাকা থেকে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী একটি ট্রলার এবং ১৯ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে আটক করে।
ভারতীয় জলসীমানা পেরিয়ে বারবার বাংলাদেশি ট্রলার ও বাংলাদেশী মৎস্যজীবী বঙ্গোপসাগর লাগোয়া উপকূল এলাকায় ঢুকে পড়ছে। বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা শুধুই কি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে জলের সীমানা লঙ্ঘন করছে নাকি অন্য কোন অভিসন্ধি রয়েছে! তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।