মালদহের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁতিদের দূর্গা এখন ভারতের পাঁচটি গ্রামের এক মাত্র দূর্গাপূজো

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বৃহস্পতিবার ২৫,সেপ্টেম্বর :: পূর্ববঙ্গের কাঁটাতারের ওপারে তাঁতিদের দূর্গাপূজো এখন ভারতের সীমান্ত এলাকার একমাত্র পূজো।এক সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম মিষ্টি দমমিশ্রি চমচম ও ভালো তসরের শাড়ি আসতো।বর্তমানে লুচি বুঁদিয়া ও খিচুড়ী ভোগ দেওয়া হয়।

এই উমার আরাধনা হয় পাচটি গ্রাম নিয়ে। সীমান্ত এলাকায় এই দূর্গাপূজতে অংশগ্রহন করেন বি এস এফ কর্তারা।মালদহের কালিয়াচকের ষষানি গ্রামে হয়ে আসছে এই প্রাচীন পুজো। জানা গিয়েছে,সীমান্ত এলাকায় এই পূজো এপার বাংলা ওপার বাংলার পুজো।

বাংলাদেশের জমি বিনিময়ের ফলে স্থানীয় সুধীর জামাদার ও সুবোধ সরকারের মিলিত প্রয়াসে এই দূর্গাপূজো হয়।মন্দির থেকে প্রায় একশো মিটারের মধ্যেই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত।

দেশের একেবারেই শেষ সীমানা,আর এখানেই হয় শতাব্দী প্রাচীন দূর্গাপুজো। হয়তো অনান্য পুজোর পুজোর মত জাঁকজমক আড়ম্বর নেই। তবে এই পুজোকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে সীমান্তবর্তী পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। মালদহের কালিয়াচকের ষষানি গ্রামে হয়ে আসছে এই প্রাচীন পুজো।

আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম মিলে হয় এই একটি মাত্র পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা। অন্যান্য পুজার থেকে কোন অংশে কম নেই এই পুজোর প্রস্তুতি। পুজোয় শামিল হয়ে থাকেন বিএসএফ কর্মীরাও। কারণ পাশেই রয়েছে বিএসএফ ক্যাম্প।

প্রতিবছর সীমান্তের এই পুজোয় চাঁদা দেওয়া থেকে পুজোয় অংশগ্রহণ করে আসছেন স্থানীয় বিএসএফ কর্মীরা।গ্রামের পাশ দিয়েই গিয়েছে সীমান্তের কাঁটাতার বেড়া। গ্রাম জুড়ে প্রায় নিয়মিত চলে বিএসএফ টহলদারি। একসময় যখন তার বেড়াছিল না,বাংলাদেশের নাগরিকেরাও এই পুজোয় এসে সামিল হতেন।

দুই দেশের সীমান্তবর্তী এই গ্রামে বসত বিশাল মেলা। সময়ের সঙ্গে তা যেন কোথায় বিলীন হয়েছে। এখন দুই দেশের সীমান্তের তারবেড়ায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে।ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশের বাসিন্দারা আর এই পুজোয় সামিল হতে পারছেন না।তবে এই পুজোয় একটুকু খামতি রাখেননি বর্তমান উদ্যোক্তারা।

পুজোকে ঘিরে পাঁচ দিনব্যাপী চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।ষষানি সার্বজনীন দুর্গাপুজো এই বছর ১১৯ তম বর্ষ। বর্তমান উদ্যোক্তা হারধন রজক বলেন, এই পুজোর সূচনা হয়েছিল অবিভক্ত বাংলাদেশে ।

তারপর দেশ ভাগের সময় জমি বিনিময়ের ফলে পুজো এখানেই শুরু করেন সেই সময়ের উদ্যোক্তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর জমাদার ও সুবোধ সরকার পুজোর নামে জমি দান করায় সেখানেই গড়ে উঠেছে ঠাকুরদালান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + seventeen =