নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: সোমবার ২৭,অক্টোবর :: কাকদ্বীপে সূর্য নগরে কালী মূর্তি ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে মথুরাপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে কাকদ্বীপে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত এই প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতৃত্বরা এবং ডায়মন্ডহারবার বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও শীর্ষ নেতৃত্বরা।
প্রতিবাদ মিছিলের পর একটি প্রতিবাদ সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই প্রতিবাদ সভা থেকে কার্যত তৃণমূল সরকারকে এক হাতে নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কালী মূর্তি ভাঙার ঘটনা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, একশ্রেণীর মানুষ দিনের পর দিন মূর্তি ভাঙবে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না পিঠের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাবো। এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এছাড়াও তিনি বলেন ২০২৬ এর পর যখন বিজেপির সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে তখন বুলডোজার বুলডোজার খেলা হবে। এছাড়াও তিনি একের পর এক কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এস আই আর ও সিএএ নিয়ে এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা বক্তব্যে উঠে আসে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদারের নাম।
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ বাপি হালদার ও রাজ্যের প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও বর্তমান কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কাকদ্বীপের সূর্য নগরের কালীমূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নারায়ণ হালদারের প্রসঙ্গে তিনি জানান,
নারায়ণ হালদারের বাবার বক্তব্যে পরিষ্কার নারায়ন হালদার এবং তার পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুধুমাত্র নারায়ণকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুক পুলিশ প্রশাসন। কাকদ্বীপের কালী মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে পাল্টা বক্তব্য দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তিনি বলেন, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর ঘটনা সবাই দেখেছে। পুনরায় সেই বাংলায় তেমন ঘটনা ঘটলে এখন একটা গোপাল পাঁঠা নয় কলকাতার মতন জায়গায় ৫০০ টা গোপাল পাঁঠা দাঁড়িয়ে যাবে।
এছাড়াও রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

