পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে মর্মান্তিক ঘটনা। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কাতেই কি এমন সিদ্ধান্ত?

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মেমারি :: বৃহস্পতিবার ৩০,অক্টোবর :: পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে মর্মান্তিক ঘটনা। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কাতেই কি এমন সিদ্ধান্ত? বুধবার রাতের অন্ধকারে নিজের জীবন শেষ করল এক তরুণী।

জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম রণিতা পাত্র বয়স ২১বছর। বাড়ি মেমারি থানার কৈলাশপুরে। বৃহস্পতিবার দেহ ময়ণাতদন্ত হলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।বুধবার দুপুরে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় রণিতা।

পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ১০টা নাগাদ মেমারি হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এ বছরই মেমারি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন পাশ করেছে রণিতা। স্বপ্ন ছিল স্কুলে শিক্ষকতা করার। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিল সে। রণিতার বাবা মহাদেব পাত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের অবস্থা খারাপ, কিন্তু মেয়ে যে এমন করবে, ভাবিনি কখনও”।

স্থানীয়দের বক্তব্য, পড়াশোনা ও স্বপ্নপূরণের পথে অর্থ যেন বাধা না হয়ে ওঠে—এই ঘটনার পর সেটাই বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে রইল সমাজের সামনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 7 =