নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: সোমবার ১০,নভেম্বর :: রাজধানী দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে রবিবার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় অন্তত আট জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন পঁচিশেরও বেশি মানুষ।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ, এনএসজি (NSG) এবং দমকল বাহিনী। গোটা রাজধানীতে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
সন্ধ্যা প্রায় ৬টা নাগাদ ব্যস্ত সময়ে মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের বাইরে একটি গাড়িতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচণ্ড শব্দে আশপাশের দোকান ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা, এবং মেট্রো পরিষেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় শর্মা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যাচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল থেকে কিছু ধাতব টুকরো, ব্যাটারি এবং টাইমার জাতীয় জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদী সংযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ফরেনসিক টিম ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) তদন্তে নেমেছে।
ঘটনার পর দিল্লি মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীদের ব্যাগ ও পরিচয়পত্র কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট ও সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী, রীতা ভার্মা, বলেন— “আমরা মেট্রো থেকে বের হচ্ছিলাম, হঠাৎ ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে উঠি। দেখি চারদিকে ধোঁয়া আর চিৎকার।”
প্রধানমন্ত্রী ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহন করবে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই নৃশংস হামলার পেছনে যারা আছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ মেট্রো স্টেশনের সামনে এই বিস্ফোরণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দিল্লির জনজীবন এখন তীব্র উদ্বেগ ও সতর্কতার মধ্যে চলছে, আর গোটা দেশ তাকিয়ে আছে তদন্তের ফলাফলের দিকে।

