নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শনিবার ১৩,ডিসেম্বর :: বেঁচে আছেন মা। কিন্তু তার জাল ডেথ সার্টিফিকেট বের করে ব্যাংক থেকে পেনশনের যাবতীয় টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় লিলুয়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছেলে তপন কুমার দাস। ধৃতকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়।
লিলুয়ার চকপাড়ার বাসিন্দা বীণাপানি দাস (৭৮) বাড়িতে একাই থাকেন। অসুস্থ ওই বৃদ্ধাকে দেখভাল করেন আয়া কৃষ্ণা সেন। বৃদ্ধা জানিয়েছেন তার বড় ছেলে থাকেন হায়দ্রাবাদে। ডিফেন্সে চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে তপন কুমার দাস পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ভারত সরকারের ট্যাকশালে কাজ করেন।
মায়ের অভিযোগ তার স্বামী ক্ষীরোদচন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর তার ছেলে তপন তার ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং গালিগালাজ শুরু করে। মেরে তার পা ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় তার পেনশনের জমানো যাবতীয় টাকা সে তুলে নেয়।
জানা গেছে ১৯৯৬ সালে তার স্বামী কাস্টমসের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পেনশন একাউন্টে প্রচুর টাকা জমে যায়। ২০১৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর সেই একাউন্ট বীণাপাণি দাসের নামে চালু হয়।
দাদা তাপস দাস বাইরে থাকার জন্য এই একাউন্ট দেখভাল করতো তপন। সে ব্যাংকে বাবার মৃত্যুর সঙ্গে মায়ের মৃত্যুর জাল তথ্য ব্যাংকে তুলে দিয়ে পেনশন বন্ধ করে দেয়। এমনটাই অভিযোগ মায়ের।
তার মায়ের আরো অভিযোগ ওই অ্যাকাউন্টে থাকা যাবতীয় টাকা সে নিজের নামে তুলে নেয়। যখন তার মা এই ব্যাপারে জানতে পারেন তখন তিনি লিলুয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। গতকাল লিলুয়া থানার পুলিশ তপন কুমার দাসকে গ্রেফতার করে।
যদিও ধৃত তপন তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে তার দাদা চক্রান্ত করছে। তিনি দাবি করেন মাকে দেখাশোনা করতেন এবং কোনদিন মারধর করেননি।
এদিকে ছেলের গ্রেপ্তারের খবরে খুশি মা বিনাপানি দাস। তিনি বলেন ছেলে আমাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। প্রচুর মারধর এবং অত্যাচার করত। আমি তার কঠোর শাস্তি চাই। তিনি আরো চান তার বন্ধ পেনশন ফের চালু করুক সরকার।

