রাধারানী জানান, তিনি বরাত অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু কেক তৈরি করে দেন। এছাড়াও ক্রেতাদের সুবিধার্থে তিনি হোম ডেলিভারির পরিষেবাও দিচ্ছেন যা প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তবে শুধু নিজের জীবিকা নির্বাহ করাই নয়, পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর করার স্বপ্নও দেখেন রাধারানী। তিনি বলেন, সুন্দরবনের যে সমস্ত মেয়েরা এই কেক তৈরির শিল্প শিখতে আগ্রহী, তারা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি আনন্দের সঙ্গে তাদের কেক তৈরি শেখাবেন।
সব মিলিয়ে, বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে এবং একইসঙ্গে নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন রাধারানী দাস। তার এই উদ্যোগ একদিকে যেমন উৎসবের মিষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় মহিলাদের জন্য স্বনির্ভরতার পথও দেখাচ্ছে। উৎসবের আবহে রাধারানীর এই শিল্পকর্ম এলাকার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: রবিবার ২১,ডিসেম্বর :: সামনেই বড়দিন, অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর। এই উৎসবকে সামনে রেখে কেক বিক্রি করে নিজের সংসারের অর্থ জোগাড়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের ধসপাড়ার বাসিন্দা রাধারানী দাস। এক চিলতে মাটির বাড়িতে বসেই তিনি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু কেক তৈরি করছেন।

