সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বুধবার বিকালে প্রথমে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মন্ত্রীদ্বয়।
ছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার পৃথা সরকার, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সচিব ও মুখ্য বাস্তুকার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ডায়মন্ড হারবারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সুন্দরবনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ মণ্ডল, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আধিকারিকরা।
বৈঠক থেকে মেলার পরিকাঠামো নির্মাণ নিয়ে বিশদে খোঁজ নেন মন্ত্রী। পরে তিনি কপিলমুনি মন্দির, মেলার মাঠ ও সাগরতট ঘুরে দেখেন। ভাঙন এলাকা দ্রুত মেরামতি করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পু্ণ্যার্থীদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থার ওপর বিশেষ জোর দেন ।
এ বছর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় পু্ন্যার্থীর সংখ্যা বাড়বে ধরে নিয়ে পরিকাঠামো তৈরীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেলা মাঠের পাশাপাশি কাকদ্বীপের লট নং আট, কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি ও নামখানায় পুণ্যার্থীদের জন্য সমান পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরে আসবেন। মেলার শেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। এদিন বৈঠকের পর মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, মেলার পরিকাঠামো তৈরীর সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হল। পরিকাঠামো তৈরীর কাজ আশি শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে।