আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ :: ১৯শে,মার্চ :: কলকাতা সিংহের খাঁচায় সাধুবাবা,
অতঃপর…
গেরুয়া পোশাকে এক ‘সাধুবাবা’ গাছ বেয়ে সিংহের খাঁচায় লাফিয়ে ঢুকে পড়েন। ওই সাধুবাবার নাম গৌতম গুছাইত। শুক্রবার সকালে আলিপুর চিড়িয়াখানায় এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই চিড়িয়াখানার নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে দেখে ফেলেন। ওই সাধুবাবাকে বাঁচাতে যান তারা। এরই মাঝে সিংহ থাবা বসায় ওই ব্যক্তির গায়ে। আহত হয়ে খাঁচার মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে খুব দ্রুততার সঙ্গে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কোনও রকম প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যক্তি।
খবরে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ওই আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় ওই সিংহের নাম বিশ্বাস। কর্মীদের তৎপরতায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডান পায়ে থাবা বসিয়েছে সিংহ। আঁচড়ের জেরে আহত ওই ব্যক্তি। কোমরে চোট রয়েছে। আপাতত অ্যান্টি হার্বিস ইনজেকশন দিয়ে সার্জারি বিভাগের অধীনে ভর্তি রাখা হয়েছিল তাঁকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, আহত ব্যাক্তিকে এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বার খোলার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হইহই শুরু হয় সিংহের খাঁচার সামনে। এক সাধুবেশী ব্যক্তি ঢুকে পড়েছেন সিংহের খাঁচায়। মুহূর্তের মধ্যে সিংহের থাবায় আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কেন তিনি ঢুকতে গেলেন সিংহের খাঁচায়? প্রাণের ভয় হল না তার?
এসএসকেএম-এর বেডে শুয়ে আহত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘তিনি সিংহকে বাঁচাতে খাঁচার ভিতর ঢুকেছিলেন। বনের পশুকে বনেই রাখা উচিত। সিংহকে মুক্তি দিতে গিয়েছিলাম। চিড়িয়াখানায় থাকবে না সিংহ’। কে আপনাকে সিংহকে বাঁচাতে আদেশ দিয়েছিল?-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সাধু বাবা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি স্পষ্ট জানান, কেউ না। আমি নিজের ইচ্ছাতেই গিয়েছিলাম’