BREAKING NEWS :: জোশীমঠে দানবীয় তুষারধস – নিখোঁজ ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড এর ১৫০ শ্রমিক – আশংকা মৃত আরও বহু

                   অনিল মাথুর :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ৭ই,ফেব্রুয়ারী :: জোশীমঠ ::

  দেবভুমিতে প্রলয় 

 

       মৃত বহু 

 

জোশীমঠের কাছে ওই তুষার ধ্বসের  জেরে ধৌলি গঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হতে পারে বলেই আশঙ্কা। ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে যে ১৫০ শ্রমিক কাজ করছ্লেন, তাঁরা নিখোঁজ। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

মুহূর্তের দানবীয় হড়পা বান উত্তরাখণ্ডের বুকে তীব্র আতঙ্ক তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই একটি বাঁধ ভেঙেছে। প্রবল গতিতে এগিয়ে চলেছে জলরাশি। এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি হতাহতের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সমস্ত অফিসাররা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন। উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ নেমেছে। দেবভূমি রক্ষায় সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস এদিন দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই তুষারধসের ফলে ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। চামোলি জেলার তপোবনেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তুষার ধসের ফলে নদীতে যেভাবে জলস্তর বাড়াতে শুরু করেছে তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জল বের করতে হবে। তা না হলে, ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকলে হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার। চলছে উদ্ধারকাজ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তার আগে তিনি জানিয়েছেন, এনিয়ে কোনও গুজবে যেন কেউ কান না দেন। কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার পরই বলা হবে।

জলের স্রোত পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে তীব্র বেগে নেমে আসছে। ফলে স্রোতের রাস্তায় পাথর ভেঙে সেগুলিও নিয়ে নেমে আসছে জলস্রোত। গোটা জেলায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ভাঙার খবরে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 8 =