নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: শনিবার ১৮,অক্টোবর :: রাজধানীর ডাঃ বিসম্ভর দাস মার্গ (B.D. Marg)-এ অবস্থিত রাজ্যসভা সাংসদদের জন্য বরাদ্দ ‘ব্রহ্মপুত্র অ্যাপার্টমেন্টস’-এ শনিবার দুপুর ১:২০ মিনিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুন লাগার তাত্ক্ষণিক খবর পেয়ে স্থানীয়রা টেনশন ও আতঙ্কে ভুগতে থাকেন; ভেতরে থাকা কয়েকজন বাসিন্দাকে ছুটে বাইরে আনা হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ: অগ্নি সিগন্যাল ও ভেতরের ফায়ার সিস্টেম সত্ত্বেও দমকল দেরি করে পৌঁছে — বেশ কয়েকজন স্থানীয় ও সাংসদ অভিযোগ করেছেন যে ইমারতটির অভ্যন্তরীণ পাম্প বা অন্যান্য সেফটি মেকানিজম কাজ করেনি এবং প্রথম মিনিটগুলোতে একাধিকবার জরুরি সেবায় ফোন করেও যথাযথ প্রতিক্রিয়া পাইনি।
চিত্র সৌজন্য :: ইন্টারনেট
X (Twitter)–এ কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় সূত্রে একই অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে দমকল দেরি ও তৎক্ষণাৎ শিফটিং না হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
দমকল বিভাগের বরাত: আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত টেন্ডার পাঠানো হয়েছিল; প্রথম কল রেকর্ডে সময় প্রায় ১:২০PM-এ পাওয়া গেছে, এবং কয়েকটি অনুরুদ্ধ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় —
তবে বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে সাদামাটা সময়ে তত্পর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি; এই বিষয়টি তদন্তের আশঙ্ক্যভূত। ঘটনাস্থলে মোটামুটি ছয় থেকে পনেরোটি দমকলযান ছাড়াও পুলিশ ও নিরাপত্তা দল কাজ করেছে।
প্রারম্ভিক তথ্যে: আগুন কোথা থেকে শুরু হয় বা কী কারণে লাগল—তৎক্ষণাত নিশ্চিত করা যায়নি; ফরেনসিক ও বিমানবাহিনী/টেকনিক্যাল টিম ক্ষত-বিক্ষত নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি; কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী ও আবাসন কর্মী সামান্যভাবে আহত হয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব চেয়েছে; নিরাপত্তা ও ভবনের আগুন-নিরোধক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এক শৃঙ্খলাবদ্ধ তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের অস্থায়ী বাসস্থান ও সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত শেষে সত্যতা বের হলে — বিশেষত দমকল পৌঁছাতে কেন বিলম্ব হয়েছিল, ভবনের ফায়ার সিস্টেম কেন ব্যর্থ হয়েছে— তার ওপর নথিভুক্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।