নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: বুধবার ২৭,আগস্ট :: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজ সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা শিল্প সম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন যে, দেশকে এখন থেকে দীর্ঘকালীন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
আধুনিক যুদ্ধ আর কয়েক দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর ধরে নানা রূপে চলতে পারে—এই বাস্তবতাই তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার মধ্যপ্রদেশের এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং ও নৌসেনার প্রধান দিনেশ ত্রিপাঠী। তাঁদের উপস্থিতিতেই অপারেশন সিঁদুরের ঢালাও প্রশংসা করেন রাজনাথ।
মন্ত্রী জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু সামরিক শক্তি নয়, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, জ্বালানি ও সরবরাহ ব্যবস্থাও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।
একইসঙ্গে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি ও গবেষণা-উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথাও বলেন। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সীমান্তে টানাপোড়েন বিবেচনায় রেখে সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের মনোবল জোরদার করা জরুরি।
মন্ত্রীর কথায়, “আমাদের প্রস্তুতি শুধু দিনের যুদ্ধের জন্য নয়, বছরব্যাপী সংগ্রামের জন্য হতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশ আত্মনির্ভর হয়ে লড়াই চালাতে সক্ষম হবে।”
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই বার্তা মূলত কৌশলগত সংকেত—দেশ যুদ্ধ চাইলেও প্রস্তুত, চাইলে প্রতিরোধেও অটল।