নিজস্ব সংবাদদাতা :: চুঁচুড়া :: জলপাইগুড়ি :: চন্দননগর :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়ায় ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে শুটআউট কান্ডে ধৃতদের আজ চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতে তোলা হল। গতকালই জলপাইগুড়ি থেকে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর কমিশনাটের বিশেষ টিম।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টোটন বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে চুঁচুড়া হাসপাতালে আনে পুলিস। গাড়িতে ছিল তার এক সঙ্গীও।স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর জরুরি বিভাগ থেকে বেরোতেই টোটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেউ বা কারা। গুলি লাগে টোটনের পেটে। চুঁচুড়া সদর হাসপাতালেই অস্ত্রপচার করে টোটনের পেট থেকে গুলি বের করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার পর হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিস। কিন্তু ততক্ষণে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়েছে হামলাকারীরা। সেই ঘটনাতেই অবশেষে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত-সহ মোট ৫জনকে। পুলিস সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া এলাকায় আত্মগোপন করেছিল মূল অভিযুক্ত বাবু পাল ও তাঁর সঙ্গী বাবাই বালা, শেখর দে ও প্রসেনজিৎ ব্যাপারী।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি রওনা দেয় চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের একটি দল। কোতুয়ালি থানার পুলিসের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। তাদের সকলের বাড়ি হুগলিতে। এদিন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে রাতেই কল্যাণী থেকে মন্টু চৌধুরী নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ধৃত পাঁচজনকেই আজ চুঁচুড়া আদালতের বিশেষ কোর্টে তোলা হয়।