আলো নেভার পর বন্ধ হলো শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা মণ্ডপ

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: শ্রীভূমি(লেক টাউন ) :: বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি পূজামণ্ডপে লেজার রশ্মি নিভিয়ে দেওয়ার এক দিনের মাথায় সেখানে দর্শনার্থী প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে গতকাল বুধবার রাতে পূজামণ্ডপ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গে এবারের দুর্গাপূজার মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পূজামণ্ডপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকা বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি করা হয় এটি। কয়েক দিন ধরে আকর্ষণীয় এই পূজামণ্ডপ দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমাচ্ছিল মানুষ। ভিড়ের চাপে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের করোনা বিধি মানতে বাধ্য করতে পারছিল না পুলিশ। এমন অবস্থায় কলকাতা পুলিশ আর ঝুঁকি না নিয়ে গতকাল রাত থেকে পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।

মঙ্গলবার নিয়ম ভঙ্গ করে লেজার রশ্মি ব্যবহারের কারণে মণ্ডপের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শ্রীভূমির তৈরি বুর্জ খলিফা পূজামণ্ডপের দূরত্ব মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আগেই বলা ছিল, বিমানবন্দর এলাকায় লেজার রশ্মি ব্যবহার ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ। তবে তা অমান্য করেই বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি পূজামণ্ডপকে লেজার রশ্মিতে বর্ণিল করে গড়ে তোলা হয়।

গত সোমবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে আলাদা করে তিন এয়ারলাইনসের পাইলটরা অভিযোগ করেন, লেজার রশ্মির বিকিরণে তাঁদের বিমান চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। এরপরই এ অভিযোগ চলে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে। শেষ পর্যন্ত তাদের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় বুর্জ খলিফার লেজার রশ্মি।

কলকাতায় ভিড়ের চাপে পূজামণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের সর্বজনীন দুর্গাপূজায় নির্মিত হয়েছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্গাপ্রতিমা। এই দুর্গাপ্রতিমা উচ্চতায় ছিল ৮৮ ফুট। তৈরি করা হয়েছিল সিমেন্ট ও ফাইবার গ্লাস দিয়ে। সে বছর ২০ অক্টোবর ছিল সপ্তমীর দিন। কিন্তু পূজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে এই বিশাল দুর্গাপ্রতিমা দেখতে প্রচণ্ড ভিড় জমে যায় ওই মণ্ডপে। এমন অবস্থায় পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর দুই দিন আগেই মণ্ডপ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − thirteen =