এই বছর মেলা আমার কাছে অভিভাবকহীন মেলা – স্মৃতিচারণে বললেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগেই ১০ জানুয়ারি চলে আসত গঙ্গাসাগরে। নিজের হাতে সাজিয়ে তুলতে গঙ্গাসাগর মেলার পরিচালনার বিভিন্ন পরিকল্পনা। ১০ বছর আগেকার গঙ্গাসাগরের সঙ্গে বর্তমান গঙ্গাসাগরের যে তফাৎ লক্ষ্য করা যায় সেই তফাৎ লক্ষ্য করানোর অন্যতম কারিগর ও অন্যতম পরিকল্পনাবিদ প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় টানা ১০ বছর ধরে গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনার গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতেন। গঙ্গাসাগর মেলার সময় প্রতিদিন রাতে ঘুরে দেখতে মন্দির চত্বর ও সমুদ্রতীর কথা বলতেন বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে। গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম মেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য। কিন্তু প্রয়াত মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল গঙ্গাসাগর বাসির মনে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা 2022। এবছর গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনা করতে প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অভাব বোধ করেছে মেলা পরিচালনা সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আধিকারিকেরা। মেলা পরিচালনা অন্যতম গুরুদায়িত্ব পালন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বেলা শেষে মন্ত্রী জানান, এই বছর মেলা আমার কাছে অভিভাবকহীন মেলা।

যে মানুষটা নিজে হাতে সমস্ত মেলা দায়িত্ব সামলাতে সে মানুষটা নেই এর ফলে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। গঙ্গাসাগর মেলার খুঁটিনাটি যার নখদর্পনে তিনি আমাদের মধ্যে নেই। গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনা করতে গিয়ে সুব্রতদার কথা খুব মনে পড়ছে। সুব্রতদার মতন ভালো মানুষ আর দুটো হয়নি। মেলার দায়িত্ব নিজে হাতেই সামলাও। এবছর খুব একা মনে করছি, সুব্রতদা যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 1 =