কোনও মহিলা যৌনতায় অভ্যস্ত হলেও তাঁকে ধর্ষণ গুরুতর অপরাধই, পর্যবেক্ষণ আদালতের

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ ::কলকাতা :: সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনের খবরে বলা হয়েছে কোনও মহিলা যদি যৌনতায় অভ্যস্ত থাকেন, তাহলেও তাঁকে ধর্ষণ করার অপরাধ লঘু হয়ে যায় না। একটি ধর্ষণের মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল কেরল হাই কোর্ট । এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। তার শুনানিতেই ওই মন্তব্য বিচারপতির।

ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে দিনের পর দিন নিজের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করেছে। তার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। এই প্রসঙ্গে শুনানির সময় বিচারপতি আর নারায়ণ পিশরাড়ি বলেন, কোনও অরণ্যরক্ষীর চোরাশিকারী হয়ে ওঠা কিংবা সরকারি কোষাগারের রক্ষীর ডাকাতি করার চেয়েও নিকৃষ্ট অপরাধ কোনও বাবার নিজের মেয়ের ধর্ষক হয়ে ওঠা।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করে, তার মেয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক রয়েছে তার। আর সেই সব যৌন সম্পর্কের কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে।

ওই ব্যক্তির এহেন যুক্তির জবাবেই বিচারপতি বলেন, ”যদি দেখা যায় কোনও মহিলা নিয়মিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত, তাহলেও তাঁকে ধর্ষণ করার অপরাধকে লঘু হিসেবে দেখানো যায় না।” সেই সঙ্গে হাই কোর্ট মনে করিয়ে দেয়, ২০১৩ সালে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে শিশুটির ‘বায়োলজিক্যাল’ বাবা অভিযুক্তই।

বিচারপতি জানিয়েছেন, সন্তানের পরম আশ্রয় ও রক্ষাকর্তা হলেন বাবা। তাই কোনও বাবা যদি নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে তবে সেটার চেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। রক্ষকই তখন হয়ে ওঠে শিকারী। উল্লেখ্য, শুনানির পরে বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট অভিযুক্তকে ওই ধর্ষণের মামলায় ১২ বছর এবং পকসো আইনে ১৪ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + two =