ক্রিকেটার রজনীশের মৃত্যু ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ‘বিচার’

নিউজ ব্যুরো :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: আলিপুর কোর্টে চলা ১৭ বছরের কিশোর রজনীশ প্যাটেলের চিকিৎসা বিভ্রাটে মৃত্যুর অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার ‘বিচার’ এখনও অধরাই। ফলে মৃত কিশোরের অসহায় বাবা‑মা এখন বেজায় হতাশ। মারা যাওয়ার পর ভবানীপুরে বাড়ির কাছেই সকলের ‘চোখের মণি’ প্রতিভাবান ক্রিকেটার রজনীশের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্থানীয় মানুষজন তৈরি করেছিল একটি বেদি।

ফি বছর তার জন্মদিনে বাবা মনোজ ও মা মুন্নি প্যাটেলের কাছে সেই বেদিই হয়ে ওঠে স্মৃতি রোমন্থনের প্রধান সম্বল। সেখানে গিয়ে ছেলের জন্মদিন পালন করেন এলাকার ছোট ছেলে‑মেয়েদের নিয়ে। তাদের হাতে তুলে দেন কেক, পেস্ট্রি, লজেন্স সহ নানা রকমারি জিনিস। ওই কিশোরের বাবা‑মায়ের কথায় ‘আমার ছেলেকে তো আর কোনও দিনই ফিরে পাব না। কিন্তু ওই বিশেষ দিনটিতে বাচ্চাগুলোর হই-হুল্লোড়ের মধ্যেই ছেলের উপস্থিতি টের পাওয়ার চেষ্টা করি। আর সে কারণেই ফি বছর ছেলের জন্মদিনে ওই বেদির সামনে যাই। 
নিউজ ব্যুরো :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে এক  ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়ে রজনীশের একটি পা গুরুতর জখম হয়। তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মনোজবাবুর অভিযোগ, ছেলের পায়ে পাঁচবার অপারেশন হওয়ার পরেও তা সফল হয়নি। পরে সে মারা যায়। এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে ওই মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিস আলিপুর কোর্টে চার্জশিট পেশ করে।

বর্তমানে মামলাটি চলছে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। বর্তমানে এই মামলার শেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী পুলিস অফিসারের সাক্ষ্য চলছে। মামলাটির ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর। মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নবকুমার ঘোষ বলেন, সরকারপক্ষ এই মামলা দ্রুত শেষ করতে চায়।

কিন্তু নানা কারণে মামলা যদি অহেতুক বিলম্বিত হয়, সে ক্ষেত্রে সরকারপক্ষের কী করার থাকতে পারে। আমরা চাই, এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি। মৃত কিশোরের বাবা‑মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বছরেও মামলা শেষ না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের। প্রতিটি শুনানির দিনে কোর্টে গিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি। আমাদের প্রশ্ন, ন্যায় বিচারের জন্য আর কত ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − nine =