গোসাবা আবার বাঘের হানা,পাতা হল খাঁচা,ঘিরে দেওয়া হল জাল দিয়ে,চলছে পুলিশি মাইকিং

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: কয়েক দিনের মধ্যে একের পর এক বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঢুকে পড়ে ছিল লোকালয়ে।বনকমীর্রা খাঁচা পেতে কখনও বাঘ বন্দী করেছে।আবার ঘুম পাড়ানো গুলি করে বাঘকে বন্দী করা হয়েছে খাঁচায়।কখনও কুলতলি,কখনও লাহিড়ীপুরের চরঘেরী এবং কুমিরমারি লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে।

কেন বর্তমানে ঘন ঘন জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে যাচ্ছে।তাহলে কি বাঘের বসবাসের পরিবেশ হারাচ্ছে,নাকি বাঘের খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।নাকি চোরা শিকারীদের উৎপাত বাড়লো।আর এই সমস্ত প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।ফলে সুন্দরবনে বাঘের সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে,হওয়া উচিত আরও বেশি করে গবেষণা।পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।নানা দেশের নানা জাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু সুন্দরবনের মত এমন দৃষ্টি নন্দন নেই।

বর্তমানে ৪৮ টি দ্বীপ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে সুন্দরবন।এমনকি ৩৫০০ কিমি নদী বাঁধ ঘিরে রেখেছে সুন্দরবন কে।এদিকে সোমবার রাতে ক্যানিং মহকুমা সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালির আমলা মথুরাখন্ড এলাকায় বাঘ ঢুকে পড়ে বিদ্যাধরী নদীতে সাঁতার কেটে।

পূর্ণবয়স্ক বাঘটি লোকালয়ে ঢোকার পর গোয়ালের তিনটি ছাগল,একটি গরু মারে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মথুরাখন্ড এলাকার বাসিন্দা হাবুল দাসের বাড়ি গোয়াল ঘর থেকে গরু এবং ছাগল মেরে বাঘটি লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।যাওয়া আসার সময় মথুরাখন্ড নদীর চরে দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ।আর এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বন দফতরের বনকর্মীরা এবং পুলিশ বাহিনী।এদিন সকাল থেকে চলছে পুলিশি মাইকিং।পাশাপাশি জঙ্গলটি নেট দিয়ে ঘিরে দেয় বনকর্মীরা এবং জঙ্গলে মধ্যে পাতা ২ টি খাঁচা।খাঁচার মধ্যে দেওয়া হয়েছে ছাগলের টোপ।

বন দফতর জানান বিদ্যাধরী নদী সাঁতর কেটে জঙ্গলের একটি বাঘ ঢুকে পড়ে রাতের অন্ধকারে।সেখানে এক ব্যক্তির গোয়াল ঘরে গরু ও ছাগল শিকার করে বাঘ।এরপর বাঘটি মথুরাখন্ডের লোকালয়ে লাগোয়া একটি জঙ্গলে ঢুকে আছে।বাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জঙ্গলের চারিদিকে জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে বনকর্মীরা এবং পাতা হয়েছে ২ টি খাঁচা।

চলছে পুলিশি মাইকিং।তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।বাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 14 =