চুঁচুড়া থেকে উদ্ধার ৫৬ কেজি পচা মাংস – খোঁজ চলছে মূল পান্ডার

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ  :: ১৮ই,জুন :: চুঁচুড়া :: বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির চুঁচুড়া থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৬ কেজি পচা মাংস। ঘটনায় ইতিমধ্যে এক ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা এবং ফুড সেফটি অফিসার চুঁচুড়ার খরুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালান।

তখনই একটি মাংসের দোকান থেকে ৫৬ কেজি পচা মাংস উদ্ধার হয়। ওই দোকান থেকেই এলাকার একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁয় মাংস যেত। কিন্তু আধিকারিকরা দেখেন দোকানে রয়েছে পচা মাংস। এরপরই দোকানের ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেফতার করল চন্দননগর কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ধৃতের নাম বিমলেন্দু দাস। চুঁচুড়ার খরুয়া বাজারে তাঁর দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফুড ইনস্পেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা যৌথ অভিযান চালায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। তখনই বিমলেন্দুর বাড়ি থেকে ৫৬ কেজি মাংস উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই মাংস যে পচা ছিল তা নিশ্চিত করেছেন ফুড ইনস্পেক্টর।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী মাংস। পুলিশ লাইন, মেস, জেল খানা শহরের বিভিন্ন হোটেলে মাংস সরবরাহ করতেন। গ্রেফতারের পর তাঁর বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। আদালতে যাওয়ার পথে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘‘মাংস পচা ছিল না। আমার বাড়িতে সব সময়ই ২০/২৫ কিলো মাংস থাকে।’’

তিন বছর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ভাগাড়ের পচা মাংস বিক্রি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা ও তার সংলগ্ন শহরতলির অধিকাংশ এলাকা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচার হত শহরের হোটেলগুলিতে। সস্তার খাবারে যে মাংস দেওয়া হত তা আসত ভাগাড় থেকেই।

 

মরা পশুর মাংস পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রের মূল পান্ডা সানির হদিশ মেলে।এই সময়েই হুগলির ভদ্রেশ্বর থেকেও খোঁজ মেলে গুদামজাত পচা মাংসের ।নাম জড়ায় নামী রেস্তরাঁরও। চুঁচুড়ার এই পচা মাংস উদ্ধারের ঘটনা ফের ওই ঘটনারই স্মৃতি উসকে দিল।

এই প্রসঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অর্ণব ঘোষ জানান, “মাংসগুলি কতদিনের পুরনো তা জানতে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই পুরো চিত্রটা পরিস্কার হবে।” এর পাশাপাশি তিনি জানান, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর কারা কারা এই চক্রে যুক্ত রয়েছে, কোথা থেকে ওই মাংস এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − two =