জেনারেল বিপিন রাওয়াতের জন্য অপেক্ষা করছিল ফেলে আসা গ্রাম

নিউজ ব্যুরো ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: সম্পূর্ণ গ্রাম শোকস্তব্ধ তাদের ভূমিপুত্রের জন্য। পাহাড়ের কোলে ফিরে আসবেন তিনি, অপেক্ষা করত ছোট্ট গ্রামটা। দেরাদুনের সেই ছোট্ট সাহসী ছেলেটা একদিন হয়ে উঠেছিল দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। তামিলনাড়ু কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্ হয়েছেন সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়াত।

গোটা ভারত শোকস্তব্ধ তার মৃত্যুতে। আর তার ফেলে আসা সেই ছোটবেলার গ্রাম আজো পথ চেয়ে আছে, কবে ফিরবেন বিপিন রাওয়াত? সেই শৈশবের উত্তরাখণ্ডের পাহাড় ঘেরা সায়না গ্রাম অপেক্ষা করছিল বিপিন রাওয়াতের জন্য।

তার কাকা ভরত সিং রাওয়াত ফোনে জানিয়েছেন, আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না কী করে এই ঘটনা হল? আমি প্রার্থনা করছিলাম সে ও তার স্ত্রী যেন আরোগ্য লাভ করে। বিপিন রাওয়াত এই গ্রামেই বাকি জীবনটা থিতু হওয়ার কথা ভাবত। এমনকী বাড়ি করার জন্য একটি জমিও দেখেছিল।

ভরত সিং রাওয়াতও সেনাতেই হাবিলদার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, দেশের বাড়ির প্রতি অত্যন্ত আকর্ষণ ছিল বিপিন রাওয়াতের। শেকড়কে কোনও দিন ভোলেননি তিনি। কাকা বলেন, ২০১৮ সালে গ্রামে এসে বলেছিল এখানে একটা বাড়ি তৈরি করতে চায়। আমি বলেছিলাম আমাদের অনেক জমি আছে। কোন জায়গায় বাড়ি তৈরি করতে চাইছে সেটা যেন বলে। সে এভাবে কী করে সব ছেড়ে চলে যেতে পারে ! সে তো আবার গ্রামে থাকতে চেয়েছিল।

চাচা ভরত সিং রাওয়াত বলে চলেন। এই তো মাসখানেক আগেও ফোন করল। বলল, গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি এখনো ওরকমই আছে? আসলে কাছের পাকা রাস্তা থেকে এখনো এক কিমি হেঁটে তারপর গ্রামে পৌঁছতে হয়। ভরত সিংয়ের পুত্র রবীন্দ্র সিং বলেন, একেবারে ঘরের মানুষ চলে গেলেন। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত ছিলাম।

তিনি দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ছিলেন। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা ছিলেন। এখানকার যুবকরা তাকে দেখেই আর্মিতে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হতেন। সেই বীর যোদ্ধাই চলে গেলেন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানসী দেবী বলেন, এভাবে চলে যাবেন বুঝতে পারিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, উত্তরাখ্ণ্ডের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এই মাটির সন্তান হিসাবে গর্ব বোধ করি।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − four =